Supreme Court on ED: ‘কতজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে?’ শীর্ষ আদালতে এবার প্রশ্নের মুখে খোদ ইডি!
Supreme Court on ED: সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা, ইডির কৌঁসুলিকে বলেন, "আপনাকে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে, পিএমএলএর অধীনে কতগুলি অভিযোগের বিচার শেষ হয়েছে এবং কতগুলিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।"
সুপ্রিম কোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে ইডি। আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) আওতায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। আর সেই নিয়েই এবার মুখ পুড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা, ইডির কৌঁসুলিকে বলেন, “আপনাকে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে, পিএমএলএর অধীনে কতগুলি অভিযোগের বিচার শেষ হয়েছে এবং কতগুলিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।”
পিএমএলএ অপরাধে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির জামিন আবেদন নিয়ে শুনানি চলার সময় এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি। বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ সেই ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করে, কারণ অভিযুক্ত গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে হেফাজতে ছিলেন এবং অদূর ভবিষ্যতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। এই বিষয়ে সেন্থিল বালাজির মামলায় দেওয়া রায়কে অনুসরণ করেই জামিন মঞ্জুর করা হয়।
তবে আদালত পিএমএলএ-তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কম শতাংশের বিষয়ে এই প্রথমবার উদ্বেগ প্রকাশ করল এমনটা নয়। এর আগে অগস্ট মাসেও বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়া জানান দশ বছরে ৫০০০ পিএমএলএ অভিযোগের মধ্যে কেবল ৪০টি কেসেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এর আগে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির সময়ে প্রশ্ন ওঠে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পিএমএলএ মামলায় অভিযোগ এবং গ্রেফতারি নিয়ে ‘বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসে’। গ্রেফতারির বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতির প্রয়োজনের কথাও বলেছিল শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কিছু আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে ইডি। তার মধ্যে বেশ কিছু মামলায় রাজ্যের কিছু প্রভাবশালীকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু পুজোর আগেই আবার জামিনে বাইরে চলে এসেছেন কয়েকজন অভিযুক্ত।