নয়া দিল্লি: হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে শনিবার দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে (Jahangirpuri) যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল, তারপরই এদিন সকালেই ওই এলাকাতে জমি দখলকারীদের উচ্ছেদ করার অভিযান শুরু হয় প্রশাসনের তরফে। তবে সম্পূর্ণ উচ্ছেদের আগেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে ওই অভিযানের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। আগামিকাল এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করা হবে। তবে শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরও বুলডোজ়ার দিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, উত্তর দিল্লি পুরসভার আধিকারিকেরা জানান, তারা এখনও শীর্ষ আদালতের নোটিস হাতে পাননি, তাই সরকারের নির্দেশ মতোই উচ্ছেদের কাজ চালানো হচ্ছে।
শনিবারই দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পাথর ছোড়াছুড়ি থেকে সংঘর্ষ গুলি চালানো অবধি গড়ায়। সংঘর্ষে আটজন পুলিশকর্মী সহ মোট নয়জন আহত হন। এই ঘটনার পরই এদিন সকালে জাহাঙ্গিরপুরীতে বুলডোজ়ার নিয়ে হাজির হন দিল্লি প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাদের সুরক্ষা দিতে উপস্থিত ছিল প্রায় ৪০০ পুলিশকর্মী। নয়টি বুলডোজ়ার স্থানীয় বাড়ি ও দোকানগুলি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়, যা অবৈধভাবে জমি দখল করে রেখেছিল। তবে উচ্ছেদ শুরু করার পরই সুপ্রিম কোর্টের তরফে উচ্ছেদ অভিযানের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। আগামিকাল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
শনিবারের সংঘর্ষের পরই দিল্লির বিজেপি প্রধান আদেশ গুপ্ত মেয়রকে চিঠি লেখেন এবং বেআইনি নির্মাণগুলি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। যদিও মেয়র জানিয়েছেন এই উচ্ছেদ কর্মসূচি রুটিনমাফিকই করা হচ্ছে। তবে শনিবারের সংঘর্ষ ও বিজেপি নেতার চিঠির পরই এই উচ্ছেদ কর্মসূচি শুরু করায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
এদিন সকালেই উচ্ছেদ কর্মসূচি শুরু করার আগে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক সহ শীর্ষ আধিকারিকরা গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। গতকালই পুরসভার তরফে দিল্লি পুলিশের কাছে নিরাপত্তার খাতিরে ৪০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করার আবেদন জানান।
উল্লেখ্য, শনিবারের ওই সংঘর্ষের পর থেকেই গোটা এলাকায় কড়া পুলিশি পাহাড়া মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও অবধি গোটা ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই সংঘর্ষ যে পরিকল্পিত ছিল, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি এখনও অবধি, এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।