লখনউ: সরকারি কর্মীদের কাজের পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে দুপুরের দিকে কোনও প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক বা সরকারি কোনও দফতরে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কারণ, মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গিয়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা গায়েব থাকেন সরকারি আধিকারিকরা। তবে সেই সমস্ত “সুখের দিন” শেষ। এবার থেকে সরকারি কর্মীরা মধ্যাহ্নভোজনের নামে দীর্ঘক্ষণ কাজ ফাঁকি দিয়ে সময় কাটাতে পারবেন না। চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকেই সরকারি কর্মীদের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি এক ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আধ ঘণ্টা করে দেওয়া হল। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার।
সম্প্রতিই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযোগ গিয়েছিল যে, মধ্যাহ্নভোজনের জন্য সরকারি আধিকারিকেরা দীর্ঘ সময় নেন। এর ফলে সরকারি কাজ প্রভাবিত হচ্ছে। কোনও প্রয়োজনীয় কাজ সারতেও কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন অবধি সময় লেগে যাচ্ছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই শীর্ষকর্তাদের ডেকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন।
এরপরই উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব দুর্গা শঙ্কর মিশ্র নির্দেশিকা জারি করে মধ্যাহ্নভোজনের সময় কমিয়ে দেন। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে সরকারি দফতরগুলিতে মধ্যাহ্নভোজনের সময় দুপুর ১টা থেকে দেড়টা অবধি বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। যারা প্রয়োজনীয় কাজের জন্য সরকারি অফিসগুলিতে যাচ্ছেন, তাদের যাতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা না করতে হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
উত্তর প্রদেশ সরকারের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “উত্তর প্রদেশ সচিবালয়ে সপ্তাহে কাজের জন্য ৫ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজের সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি বেধে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মধ্যাহ্নভোজের জন্য দুপুর একটা থেকে আধ ঘণ্টার জন্য সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান দফতরগুলিতেও এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে।”
এছাড়া, সরকারি কর্মীরা নিয়মিত অফিসে আসছেন কিনা, তা জানার জন্য দফতরের প্রধান ও শীর্ষ আধিকারিকদের মাঝেমধ্যেই অফিসগুলিতে ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ যেতে বলা হয়েছে।