করোনা চিকিৎসায় আয়ুষ বা হোমিওপ্যাথি ওষুধ নয়, ‘সুপ্রিম নির্দেশে’ হোঁচট কেন্দ্রের

অক্টোবর মাসেও করোনা চিকিৎসায় আয়ুষের ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের শুরু হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায় স্বল্প ও মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আয়ুষ চিকিৎসার কথা বলা হয়েছিল।

করোনা চিকিৎসায় আয়ুষ বা হোমিওপ্যাথি ওষুধ নয়, 'সুপ্রিম নির্দেশে' হোঁচট কেন্দ্রের
করোনা চিকিৎসায় ব্য়বহার করা যাবে না আয়ুষ বা হোমিওপ্যাথি ওষুধ, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
Follow Us:
| Updated on: Dec 15, 2020 | 1:59 PM

নয়া দিল্লি: করোনা চিকিৎসা করতে পারবেন না আয়ুষ (Ayush) বা হোমিওপ্যাথি (Homeopathy) চিকিৎসকরা, মঙ্গলবার সেকথা সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর আগে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court) করোনা চিকিৎসায় আয়ুষ ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানায় একটি হোমিও ফার্মেসি স্কুল। কেরল আদালতের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম রায়ে পাশপাশি কেন্দ্রও কিছুটা ধাক্কা খেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

২১ অগস্ট কেরল হাইকোর্ট করোনা চিকিৎসায় (COVID-19 Treatment) আয়ুষ ও হোমিওপ্যাথি ওষুধের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডঃ একেবি সদভাবনা মিশন স্কুল অব হোমিও ফার্মেসি সুপ্রিম কোর্টে আর্জি দাখিল করে। মঙ্গলবার বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সুভাষ রেড্ডি ও বিচারপতি এমআর শাহ-র বেঞ্চ সেই আবেদনের শুনানিতে কেরল হাইকোর্টের সিদ্ধান্তই বহাল রাখে।

আরও পড়ুন: এবার ছড়াচ্ছে মারণ ছত্রাক সংক্রমণ! দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছেন অনেকে, দিল্লিতে মৃত ৫

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry)-র তরফে আয়ুষ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের সরকার অনুমোদন প্রাপ্ত ট্যাবলেট ও মিক্সচার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও করোনা প্রতিরোধে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে করোনা চিকিৎসায় আয়ুষ বা হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহারের কথা বলা হয়নি।

অক্টোবর মাসেও করোনা চিকিৎসায় আয়ুষের ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের শুরু হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন (Harsh Vardhan) কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যে ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল প্রকাশ করেন, তাতে যোগা ও খাদ্যাভাসের পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ভেষজের ব্যবহার উল্লেখ ছিল। অশ্বগন্ধা ও আয়ুষ-৬৪-র মতো পথ্যের ব্যবহারে করোনা সংক্রমণ রোধ এবং স্বল্প ও মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসা সম্ভব বলে দাবি করা হয় সেই নির্দেশিকায়। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়শন (Indian Medical Association) এই বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশিকার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি সম্পর্কে জানতে চান।

আরও পড়ুন: দেশে নিম্নমুখী করোনার রেখাচিত্র! একদিনে আক্রান্ত ২২ হাজার