নয়াদিল্লি: কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। কেরল বিধানসভার বিল কেন ২ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে রয়েছে, বুধবার সে প্রশ্নও তুলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। কেন সেই বিলে সম্মতি দিতে এত সময় লাগছে, সে প্রশ্নও তুলেছে আদালত। কেরল সরকারের প্রস্তাবিত ৮টি বিল পড়ে রয়েছে কেরলের রাজ্যপালের কাছে। সেই সব বিল যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে জন্য কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজ্যপালকে আলোচনা করার পরামর্শও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
কেরলের রাজ্যপালের বিল আটকে রাখা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। সেই মামলায় রাজ্যপালের হয়ে সওয়াল করেছেন অ্যাটর্নি জেনারাল আর ভেঙ্কটারামানি। তিনি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে জানিয়েছেন আটটি বিলের মধ্যে একটিতে সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। বাকি সাতটি বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই মামলার শুনানির সময় জিজ্ঞাসা করেছেন, “২ বছর ধরে এই বিল আটকে রাজ্যপাল কী করছেন?” এই বিল নিয়ে যদি কোনও আপত্তি থাকে এবং তা পরিমার্জনের প্রয়োজন হয়, তাও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে করার পরামর্শ কেরল সরকার এবং রাজ্যপালকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এ বিষয়ে বিচারপতিরা বলেছেন, “বিলের বিষয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন সেদিকে আমরা নজর রাখব।” এর পাশাপাশি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে সংবিধান মেনে কাজ করার পরামর্শ দুপক্ষকেই দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন রাজ্যপালের সঙ্গে সে সব রাজ্য সরকারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্য সংক্রান্ত কোনও বিষয় হোক বা রাজ্য সরকার প্রস্তাবিত বিল। বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের সঙ্ঘাত সামনে এসেছে। কেরলের পাশাপাশি তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গও এ রকম সঙ্ঘাতের সাক্ষী থেকে সাম্প্রতিক কালে।