নয়া দিল্লি: ১৯৭১ সালের পর থেকে কত মানুষ অবৈধভাবে উদ্বাস্তু হিসেবে প্রবেশ করেছেন উত্তর-পূর্ব ভারতে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই তথ্য চাইল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হয়েছে নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি। নাগরিকত্ব আইনের সেকশন ৬-এর বিরোধিতা করে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই সব মামলারই শুনানি চলছে।
সেকশন ৬ অনুযায়ী, ১৯৬৬-র ১ জানুয়ারি ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের মধ্যে যাঁরা অসমে প্রবেশ করেছেন ও অসমে বসবাস করেন, তাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু অসমবাসীদের একাংশই এই নিয়ে আপত্তি তুলেছে। তাদের দাবি, এ ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের প্রবণতা বেড়েছে। প্রভাব পড়েছে রাজ্যে।
সেই সেকশন ৬-এর সাংবিধানিক বৈধতা কতটা, তা বিবেচনা করছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি এমএম সুরেন্দ্র, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র। এই সেকশনের ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অসমের ক্ষেত্রে আলাদা কিছু রয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অসমে কতজন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তার তালিকা দিতে হবে। কেন্দ্রের দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ থাকতে হবে, কতজন অনুপ্রবেশকারীকে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত, এই ধরনের অনুপ্রবেশকারীদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সীমান্তের সুরক্ষার ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কোথায় রয়েছে কাঁটাতার, সে সবও উল্লেখ করতে হবে ওই হলফনামায়।