Bilkis Bano: বিলকিস বানোর আবেদন গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট, আগামী ১৩ ডিসেম্বর শুনানি
Bilkis Bano: ১১ জন দোষীদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিলকিস বানো। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে।
নয়া দিল্লি: গত ১৫ অগাস্ট বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তের জেলমুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে দীর্ঘ জল্পনার পর সম্প্রতি ১১ জনের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) আবেদন করেছিলেন বিলকিস বানো। জানা গিয়েছে,সুপ্রিম কোর্টে সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে এবং আগামী ১৩ ডিসেম্বর সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
বিচারপতি অজয় রাস্তোগি ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হবে। উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বিলকিস বানোর তরফে আইনজীবী শোভা গুপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই আবেদন উল্লেখ করেন। এবার এই আবেদনের ভিত্তিতেই আগামী ১৩ নভেম্বর শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বিলকিস বানোকে ধর্ষণের মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। গুজরাটের মওকুফ নীতিতে তাদের সাজা মকুব করা হয়। আর গত ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়। এই নিয়ে গুজরাটের ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও কাঠগড়ায় তোলে বিরোধী দলগুলি। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর আগেই অনেকগুলি আবেদন জমা পড়েছিল। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম নেতা সুভাষিণী আলি সহ একাধিক ব্যক্তি সংগঠন দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারপর সম্প্রতি ৩০ নভেম্বর দোষীদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেন বিলকিস বানো। সেই আবেদেনর ভিত্তিতেই আগামী মঙ্গলবার রয়েছে শুনানি।
নিজের আবেদনে বিলকিস বানো জানিয়েছিলেন, ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের আগেভাগে মুক্তি নিয়ে সম্পূর্ণ ফাইল ও বিভিন্ন নথিপত্র দেখার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার পরও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও জবাব আসেনি বলেই তিনি জানিয়েছেন। এত বড় অপরাধের শিকার হওয়া সত্ত্বেও তাঁর দোষীদের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি একেবারেই অবগত ছিলেন না। দোষীদের মুক্তির দিনেই তিনি এই বিষয়ে জানতে পারেন। তিনি এই আবেদনে জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সমস্ত আইন সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে দোষীদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই শুনানি চলছে।