Swachh Bharat Mission: শহুরে চাকচিক্য ‘ফিকে’ গ্রামের কাছে, সরকারি প্রকল্প বদলে দিচ্ছে স্বচ্ছতার ছবি
Swachh Bharat Mission: সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে মাত্র ১৯ শতাংশ পরিবার 'টয়লেট ক্লিনার' ব্যবহার করত। সেখানেই ২০২৪ সালে এই সংখ্যাটা ৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে। আজ, দেশের ১২.৮ কোটিরও বেশি পরিবার টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করে।
নয়া দিল্লি: ক্ষমতায় আসার পরই দেশ সাফাইয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ফলও মিলছে হাতেনাতে। বর্তমানে দেশের অর্ধেকেরও বেশি পরিবার টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করে। এক দশক আগে এই সংখ্যাটা এক-পঞ্চমাংশ ছিল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে মাত্র ১৯ শতাংশ পরিবার ‘টয়লেট ক্লিনার’ ব্যবহার করত। সেখানেই ২০২৪ সালে এই সংখ্যাটা ৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে। আজ, দেশের ১২.৮ কোটিরও বেশি পরিবার টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করে। এর পিছনে প্রধান কারণ হল, স্বচ্ছ ভারত অভিযান। এছাড়াও রেকিট বেনকিজার, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার এবং ডাবরও পরিচ্ছন্নতা পণ্যের প্রচার করেছে। ফলে এর সংখ্যা বেড়েছে।
ডাবরের বিপণন প্রধান বৈভব রথী বলেন, “স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অধীনে গ্রামীণ এলাকায় টয়লেট নির্মাণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। ভারতের সারফেস ক্লিনার বাজারের মূল্য প্রায় ৪২০০ কোটি টাকা। এতে টয়লেট ক্লিনারের বিক্রিই ২০০০ কোটি। এক দশক আগেও শহরাঞ্চলে টয়লেট ক্লিনারের ব্যবহার বেশি ছিল। এখন গ্রামাঞ্চলেও এই পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।”
আগে ৮২ শতাংশ শহুরে পরিবার টয়লেট ক্লিনার ব্যবহার করত। এখন এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৪৮ শতাংশ। সেখানেই ৫২ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় টয়লেট ক্লিনার ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্বচ্ছ ভারত অভিযান ৫০০,০০০-এরও বেশি গ্রামকে খোলা জায়গায় মলত্যাগ থেকে মুক্ত ঘোষণা করেছে। গ্রামীণ স্যানিটেশন বা স্বচ্ছতা ৩৯ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে পৌঁছেছে। এছাড়া কোম্পানিগুলোও এই উদ্যোগের অংশ হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার ২০১৬ সালে কমিউনিটি টয়লেট ব্লক সুবিধা কেন্দ্র চালু করেছে। এখন সেই সংখ্যা ১৬-এ পৌঁছেছে।