শীত-গ্রীষ্ম বা বর্ষা! পাকিস্তানের দিক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী, জঙ্গি ভারতে ঢোকার কোনও বিরাম থেকে না। কখনও রাতের অন্ধকারে, কখনও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার আড়ালে পাক জঙ্গিরা কাশ্মীরে ঢুকে ভারতের মাটিকে অশান্ত করতে, দেশের রক্তক্ষরণ ঘটাতে চায়। সেই সন্ত্রাসের আঁতুরঘর পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে তাই সীমান্তে এক নজিরবিহীন অস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনা। এমন অস্ত্র না কেউ কখনও দেখেছে, না শুনেছে!
কী সেই অস্ত্র? শুনলে মনে হবে কল্পবিজ্ঞানের গল্প বোধহয়! কিন্তু সেটাই এবার বাস্তবে করে দেখাল ভারত। সীমান্তে বসতে চলেছে Ten AI Weapon System বা TAIWS। শুধু সেনা ও তাঁদের বন্দুকের নল নয়, জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে এবার পাহারা দেবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর ওয়েপন সিস্টেম।
যেমন দেখতে হয় এই অস্ত্র
কী করবে TAIWS? প্রথমে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ক্যামেরা দুশমনের গতিবিধিকে আঁচ করবে, তারপর মেশিনগানের সাহায্যে নিকেশ করবে জঙ্গি বা অনুপ্রবেশকারীকে। জেমস বন্ডের সিনেমাতে এই অস্ত্রের ব্যবহার দেখে থাকতে পারেন, এবার বাস্তবে মাত্র ১০ মিলিসেকেন্ডে দুশমনকে খতম করবে TAIWS। এটুকু সময়ের মধ্যেই শত্রুকে খুঁজে, ট্র্যাক করে তাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেবে মিডিয়াম মেশিন গান। যদিও গুলি চালানো হবে কি না, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বাঙ্কারে পাহারা দেওয়া একজন সেনাকর্মীই।
বেঙ্গালুরুতে ই ২০২৫ এয়েরো ভারতের শো-তে দেখানো হয় আসল ১০ এআই অস্ত্র
এয়েরো ইন্ডিয়া ২০২৫-এ এই অস্ত্র প্রকাশ্যে আনা হয়, আর কয়েক মাসের মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে সেনার বাঙ্কারে এই অস্ত্রের দেখা মিলবে। রাতে বা প্রবল ঝড়-বৃষ্টি-কুয়াশাতেও ২ কিলোমিটার পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাবে এমন ডে ক্যামেরা ও থার্মাল ইমেজ ক্যামেরা রয়েছে এই সমরাস্ত্রে। ৪০X পর্যন্ত জুম করতে পারবে ক্যামেরাগুলি। সঙ্গে মিডিয়াম মেশিন গানের গুলির পাল্লা ১.৮ কিলোমিটার। শত্রু পাথর বা জঙ্গলে গাছের আড়ালে লুকিয়েও অনুপ্রবেশ করতে পারবে না এর চোখ এড়িয়ে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর TAIWS যে কোনও চলমান টার্গেট রয়েছে বা কোথায় সেই টার্গেট আর কয়েক সেকেন্ড পর যেতে পারে সেটাও নিজে থেকেই অনুমান করে গুলি চালাতে পারবে। সবমিলিয়ে কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় সেনা যে এবার আরও প্রখর ও পরাক্রমশালী হচ্ছে, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।