Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supreme Court: রাজ্যপাল-রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়াই দেশে প্রথমবার বিল পরিণত হল আইনে

Supreme Court: মঙ্গলবার সেই দশটি বিলের মামলাতেই তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবিকে ভর্ৎসনা করে 'নীতির' পাঠ দেয় বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেভানের ডিভিশন বেঞ্চ। একটা বিল কত দিন আটকে রাখতে পারবেন রাজ্যপাল?

Supreme Court: রাজ্যপাল-রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়াই দেশে প্রথমবার বিল পরিণত হল আইনে
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Apr 12, 2025 | 5:47 PM

চেন্নাই: মঙ্গলবার রায়দান। শনিবার বিল পরিণত হল আইনে। তাও আবার রাজ্যপাল কিংবা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়াই। দেশে এমন ঘটনা আদতেই প্রথম। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে জয় হয় তামিলনাড়ুর সরকারের। দশটি বিল নিয়ে সে রাজ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের বেঁধে গিয়েছিল মৌখিক সংঘর্ষ। যা আইনী পথ হয়ে পৌঁছে ছিল সুপ্রিম কোর্টে দুয়ারে।

মঙ্গলবার সেই দশটি বিলের মামলাতেই তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবিকে ভর্ৎসনা করে ‘নীতির’ পাঠ দেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেভানের ডিভিশন বেঞ্চ। একটা বিল কত দিন আটকে রাখতে পারবেন রাজ্যপাল? সেই নিয়ে সময় বেঁধে দেন তারা। এমনকি, শনিবারের শুনানিতেও রাজ্যপালের অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি একটি বিলকে কতদিন নিজের হাতে রাখতে পারবেন, সেই প্রসঙ্গ তুলে ঘড়ি বেঁধে দেন বিচারপতিরা। আর তারপরেই আইনে পরিণত হয়ে যায় তামিলনাড়ু সরকারের ‘ঝুলে থাকা’ দশটি বিল। তাও আবার কারওর অনুমোদন ছাড়াই।

শনির শুনানিতে বিচারপতি পারদিওয়ালার নির্দেশ, ‘এই বিলগুলি দ্বিতীয়বার রাজ্য়পালের কাছে উপস্থাপন হওয়ার তারিখ থেকে অনুমোদিত বলে গণ্য হবে।’ এই মর্মে শীর্ষ আদালতের আজকের পর্যবেক্ষণকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্য়ান দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। পাশাপাশি, অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর আরও দাবি, ‘দেশের আর সকল রাজ্যগুলির জন্য এটা বড় জয়…’

উল্লেখ্য, এদিনের সুপ্রিম-রায়ে আইনে পরিণত হওয়া ১০টি বিলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, তামিলনাড়ু বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধিত) আইন, তামিলনাড়ু বিশ্ববিদ্যালয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধিত)। এই বিলগুলি আইনে পরিণত হওয়ার ফলে এবার সে রাজ্যের ১৮টি রাজ্য় সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা চলে এসেছে স্ট্যালিন সরকারের হাতে। যা আগে ছিল একমাত্র রাজ্যপালের হাতে। কিছুটা একই কায়দায় বাংলাতেও সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে করার জন্য বিধানসভা থেকে পাশ করানো হয়েছিল একটি সংশোধনী বিল। যা এখনও রাজ্যপালের কাছেই আটকে রয়েছে। একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, এবার কি তবে ‘স্বপ্নপূরণে’ তামিলনাড়ুর পথেই হাঁটবে বাংলা?