নয়া দিল্লি: সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তার আগেই ৩১ জানুয়ারি থেকে সংসদে বসতে চলেছে বাজেট অধিবেশন। সংসদের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট অধিবেশনকে হাতিয়ার করে নির্বাচনের আগে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে চেপে ধরতে তৈরি হচ্ছে কংগ্রেস। শুক্রবারে রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস সংসদীয় দলের নীতি নির্ধারক গোষ্ঠী। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশনে সরকারকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। তাই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, এয়ার ইন্ডিয়ার হস্তান্তর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত চিন উত্তেজনা এবং কৃষকদের দাবিদাওয়াকে সামনে রেখেই বিজেপিকে বিপাকে ফেলার রণকৌশলের কথা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখিত ইস্যুগুলিতে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত গুলির সঙ্গে সহমত হয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি, কেসি বেনুগোপাল, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, আনন্দ শর্মা, গৌরভ গগৈ, কে সুরেশ, জয়রাম রমেশ, মনিকম ঠাকুর এবং মণীশ তিওয়ারি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির বিরোধিতার সুর চরমে নিয়ে যেতে চাইছে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সকাল ১০ থেকে বেলা ৩ টে অবধি চলবে রাজ্য সভার অধিবেশন। লোকসভার অধিবেশন চলবে বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৯ পর্যন্ত। ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি চলবে বাজেট অধিবেশন। দ্বিতীয় পর্যায়ে মার্চ মাসের ১৪ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৮ তারিখ অবধি অধিবেশন চলবে।
আরও পড়ুন: School Reopening: বড় খবর! বাংলায় এখনই খুলছে না স্কুল, হাইকোর্টে সময় চাইল রাজ্য