নয়া দিল্লি: গত শনিবার হনুমান জয়ন্তীর দিন ধর্মীয় শোভাযাত্রা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির (Delhi) জাহাঙ্গিরপুরী (Jahangirpuri Clash)। শোভাযাত্রা একটি মসজিদের সামনে আসতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল দিল্লি জাহাঙ্গিরপুরী। এই সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আহত হয়েছিলেন। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর পরিস্থিতি সচক্ষে খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন ৫ সদস্যের তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (TMC Fact Finding Committee)। জাহাঙ্গিরপুরী পরিদর্শনে যাওয়া তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলে যাঁরা ছিলেন, তাদের প্রত্যেকেই লোকসভার নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, সাজাদা আহমেদ ও অপরূপা পোদ্দার। দিল্লিতে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছেন। জাহাঙ্গিরপুরীতে যে ঘটনা ঘটেছে তা অমানবিক। বুলডোজার চালানো তৃণমূল কখনই সমর্থন করবে না। ওখানের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদেরকে উনি পাঠিয়েছেন।”
জাহাঙ্গিরপুরীতে গিয়ে প্রথমে বাধার মুখে পড়েছিল তৃণমূলের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। পুলিশ জানিয়ে দেয় মসজিদ এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যেতে দেওয়া হবে না, তবে আশেপাশের এলাকা তারা ঘুরে দেখতে পারেন বলেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। জাহাঙ্গিরপুরীর অলি-গলি ঘুরে দেখে মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তার কথা বলারও চেষ্টা করেন। আশ্চর্যজনকভাবে একটি ছোট্ট ছেলে তৃণমূল সাংসদদের পথ দেখিয়ে জাহাঙ্গিরপুরীর অলি-গলি ঘুরিয়ে দেখান। বিভিন্ন গোষ্ঠী নির্বেশেষে জাহাঙ্গিরপুরীতে বেশ কিছু বাংলা ভাষাভাষীর মানুষ বসবাস করেন, কাকলিকে তাদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলতে দেখা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে টিভি৯ বাংলাকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “আমি বুঝতে পারছি এখানে ভয়ের পরিবেশ রয়েছে। পুলিশ আমাদের যেতে দিচ্ছে না। আমার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছি।” পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ডিসিপি এসে তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাবে, কিন্তু ডিসিপি না আসা অবধি তাদের অপেক্ষা করতে হবে।