লখনউ: ডাক্তারের বাড়ি, নিশ্চয়ই আলমারিতে সোনাদানা-মোটা অঙ্কের মালকড়ি থাকবে। সুযোগ বুঝেই, বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঢুকেছিল চোর। গোটা ঘর তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু দামি জিনিস ব্যাগেও পুড়েছিল, কিন্তু বাড়ি থেকে আর বেরনো হল না। পরদিন সকালে পুলিশের হাতে ধরা তো পড়লেনই, উল্টে মান-সম্মানও গেল। চুরি করতে এসে কি কেউ ঘুমিয়ে পড়ে!
গোটা ঘটনায় হেসে গড়াগড়ি পুলিশও। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে। এক চিকিৎসকের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল চোর। কিন্তু মালপত্র চুরি করার পর পালানোর বদলে সে ওই চিকিৎসকের বাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে যখন লোকজনের চেঁচামেঁচিতে চোখ খোলে, দেখতে পায় মাথার কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ।
ইন্দিরা নগরের ওই বাড়িটি সুনীল পান্ডে নামক এক ব্যক্তির। পেশায় তিনি চিকিৎসক। বর্তমানে তার পোস্টিং বারাণসীর একটি সরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসক বারাণসীতে থাকায়, তার বাড়িটি ফাঁকাই ছিল। সেই সুযোগেই রবিবার ঘরে ঢুকেছিল চোর। সারা বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে অনেক দামি জিনিস পায়, সেগুলি নিজের ব্যাগেও ভরে। কিন্তু বাড়ি থেকে আর বের হতে পারেনি। নরম বিছানা পেয়ে, ওখানেই ঘুমিয়ে পড়ে চোর।
এদিকে প্রতিবেশীরা পরদিন সকালে ওই চিকিৎসকের বাড়ির দরজা খোলা দেখতে পেয়ে, উকি দেয় ঘরের ভিতরে। সমস্ত জিনিস লন্ডভন্ড দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে গোটা বাড়ি যখন তল্লাশি চালায়, তখন দেখতে পায় যে বিছানায় ঘুমোচ্ছে চোর। পুলিশের ডাকাডাকিতেই চোরের ঘুম ভাঙে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই চোর নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চুরি করতে এসেছিল। টাকাপয়সা থেকে শুরু করে ওয়াশ বেসিন, গ্যাস সিলিন্ডার ও জলের পাম্পও চুরি করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। কিন্তু নেশার কারণে ঘুমিয়ে পড়ে সে।