এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বরো উরি সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল ৬ জঙ্গি। সেই সময়ও সেনা বাহিনী দেখতে পেয়ে যাওয়ায় তারা নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পালিয়ে যায়। বিগত এক সপ্তাহ ধরে সেখানে জঙ্গিদের খোঁজে চিরণী তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। ওই তল্লাশি অভিযান বন্ধ করতেই ফের অস্ত্রশস্ত্র সহ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো হল।
সেনাবাহিনীর উরি বেসের কম্যান্ডিং অফিসার জানিয়েছেন. নিহত ওই তিন সন্ত্রাসবাদীর কাছ থেকে ৫টি একে-৪৭, ৭টি পিস্তল, ৫টি একে ম্যাগাজিন, ২৪টি ইউবিজিএল গ্রেনেড, ৩৮টি চিনা গ্রেনেড, ৭টি পাকিস্তানি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও কিছু শুকনো খাবার ও পাকিস্তানি মুদ্রায় ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।
এই অনুপ্রবেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পাণ্ডে বলেন, “সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই পাকিস্তানের আচরণে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। সেই কারণে সেনা বাহিনী কড়া নজরদারি চালাচ্ছে”। আসন্ন শীতেও অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঙ্গে অনুপ্রবেশকে না জড়িয়েই তিনি বলেন, “আমরা সবধরনের অনুপ্রবেশ রুখতে প্রস্তুত।”