নয়া দিল্লি: গতকালই রাজ্যসভায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের জেরে রাজ্যসভার ছয় তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। আর এ বার তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষের বিরুদ্ধে জমা পড়ল অভিযোগ। জোর করে রাজ্যসভায় প্রবেশ করতে গিয়ে রাজ্যসভার কাচের দরজা ভেঙেছেন তিনি। এমনটাই অভিযো করেছেন রাজ্যসভার এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর অভিযোগ, ওই ঘটনায় তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আজ, বৃহস্পতিবার ভিডিয়ো সহ ওই অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্যসভায়।
আজ সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে চিঠি লিখে ওই মহিলা নিরাপত্তাকর্মী জানিয়েছেন, বুধবার রাজ্যসভার বাইরের লবিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তখনই ওই ঘটনা ঘটে। গতকাল অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাসপেন্ড করে দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ছ’জন সাংসদকে। সাংসদেরা হলেন দোলা সেন, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, মৌসম নূর এবং অর্পিতা ঘোষ। একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় তাঁদের। এরপরই রাজ্যভায় জোর করে প্রবেশ করতে যান ওই সাংসদেরা। সেই সময় আটকানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো তৃণমূল সাংসদদের আটকানো হয়। তা নিয়েই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সেই সময় সাংসদ অর্পিতা ঘোষ দরজায় জোরে ধাক্কা মারেন। তাতে ভেঙে যায় দরজার কাচ। কাচের আঘাত পান মহিলা কর্মী। তড়িঘড়ি ক্যান্টিন হল থেকে প্রাথমিক শুশ্রুষা করা হয় তাঁকে। অভিযোগের সঙ্গে নিজের মেডিক্যাল রিপোর্টও কাগজও জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ওই মহিলা।
এবার অধিবেশনের শুরু থেকেই পেগাসাস সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরব হয়েছেন তৃণমূল-সহ বিরোধী সাংসদরা। বুধবারও সেই ধারা অব্যহত ছিল। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ। সূত্রের খবর, ওই দিন আপ ও সিপিএম কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদেরা প্রথমে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চান। সেই দাবিতেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপরই তাঁদের সাসপেন্ড করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। আরও পড়ুন: টিকাকরণেও ‘গেরুয়া জুজু’ দেখছে রাজ্য! শুভেন্দু চান, কেন্দ্র ব্যবস্থা করুক কর্মীদের জন্য