‘রাত ৯টার মধ্যে ইস্তফা না দিলে…’ থ্রেট করা হয়েছে জগদীপ ধনখড়কে? বিস্ফোরক কল্যাণ
Kalyan Banerjee on Jagdeep Dhankhar: উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ নয়। হুমকি দিয়ে পদত্যাগ করানো হয়েছে তাঁকে।

নয়া দিল্লি: জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ ঘিরে জোর জল্পনা, গুঞ্জন। এর মাঝেই বোমা ফাটালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ নয়। হুমকি দিয়ে পদত্যাগ করানো হয়েছে তাঁকে।
তৃণমূল সাংসদের দাবি, জগদীপ ধনখড়কে থ্রেট করা হয়েছে। এমনই হুমকি দেওয়া হয়েছে যে রাত ৯টার মধ্যে ইস্তফা না দিলে পরদিন তাঁকে ইমপিচ করা হবে বলা হয়েছিল।
তিনি আরও দাবি করেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথা না শোনায় ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। উনি সংবিধান অনুযায়ী কাজ করেন। মোদী তো চান না কেউ সংবিধান অনুযায়ী কাজ করুক। ৫০ জনকে রাজনাথ সিংয়ের ঘরে বসিয়ে রেখেছিল ইমপিচমেন্ট মোশনে সই করানোর জন্য। এখন শুনছি রাজনাথ সিংকে সাইডলাইন করার জন্য এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি করা হবে।”
এদিকে, এই বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতা তথা বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে বলেন, “কল্যাণ গতকাল উল্টো কথা বলেছিলেন। গতকাল বলেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য পদত্যাগ। আজ দিদির ধমক খেয়ে অন্য কথা বলছে। ধনখড়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক সবাই জানে। আর নির্বাচনের সময় তৃণমূলের কী ভূমিকা ছিল, সবাই দেখেছে।”
প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ইস্তফা দেন। জল্পনা তৈরি হয়েছে, বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাঁর অতি সক্রিয়তাই হঠাৎ ইস্তফার নেপথ্য কারণ হতে পারে। আবার সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিচারপতি ভর্মার বিরুদ্ধে বিরোধীদের ইমপিচমেন্ট নোটিস (impeachment notice) হঠাৎ করে মেনে নেওয়ায় গন্ডগোল বেঁধেছে বলেও জোর জল্পনা।
সূত্রের খবর, সরকার চেয়েছিল, বিচারপতি ভর্মার বিরুদ্ধে সরকারের উদ্যোগে সর্বসম্মতভাবে ইমপিচমেন্ট মোশন আনা হবে। সরকারের পরিকল্পনা ছিল, প্রথমে লোকসভায় ইমপিচমেন্ট মোশন মুভ করা হবে। এরপর রাজ্যসভায় আনা হত। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করে ই ধনখড় ঘোষণা করেন, বিরোধী বেঞ্চ থেকে ৫০ জন সাংসদের স্বাক্ষরিত ইমপিচমেন্ট মোশন পেয়েছেন তিনি। বিরোধীপক্ষের মোশন ট্রেজারি বেঞ্চের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই গ্রহণ করে নেওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় সরকার পক্ষ।

