আগরতলা : সামনেই পুর নির্বাচন আগরতলায় (Agartala)। এই ভোট কার্যত তৃণমূলের মুখরক্ষার লড়াই। বিপ্লব দেব (Biplab Deb) সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত তৃণমূলের (TMC) যে তীব্র বিরোধিতা সামনে এসেছে, তাতে এই ভোট ঘাসফুল শিবিরের জন্য প্রেস্টিজ় ফাইট হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই আগরতলা পুরনিগমের ভোটে কোনও খামতি রাখতে চায় না তৃণমূল। প্রচার শুরু হয়েছে আগেই। এবার আগরতলাবাসীর জন্য ৯ টি প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনি ইস্তাহার (Manifesto) প্রকাশ করল তৃণমূল। আজ মঙ্গলবার, ‘নবরত্ন’ নামে সেই ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে।
এ দিন ইস্তাহার প্রকাশ করতে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, বিধায়ক তথা এ রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়ক জুন মালিয়া, সোহম চক্রবর্তী, ত্রিপুরার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুবল ভৌমিক প্রমুখ।
তৃণমূলের ৯টি প্রতিশ্রুতি মধ্যে রয়েছে, জনসুরক্ষা, জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য, সামাজির সুরক্ষার মতো বিষয়। ক্ষমতায় এলে আগরতলার মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। খানাখন্দহীন সড়ক তৈরির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ফ্রি ওয়াই ফাই, মহিলাদের দ্বারা চালিত পিঙ্ক অটো ও পিঙ্ক ট্যাক্সি রাস্তায় নামানোর কথাও বলা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ক্ষমতায় এলে গোটা শহর মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভিতে। বাসিন্দাদের কর ছাড়ের কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতা পুরসভার ধাঁচে টোল ফ্রি নম্বর চালু করে হ্যালো মেয়র পরিষেবা চালু করার কথা বলা হয়েছে।
ইস্তাহারে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে রয়েছে, ‘উন্নত নগর, উন্নত সমাজ’, বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা সহ একাধিক বিষয় রয়েছে এর মধ্যে। দ্বিতীয়টি হল, ‘নিশ্চিত সুরক্ষা, নিশ্চিন্ত আমরা’। সেখানে বলা হয়েছে, মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পিঙ্ক অটো বা পিঙ্ক ট্যাক্সি নামানোর কথা। এ ছাড়া, রাস্তায় ৩০০ মিটার অন্তর বসানো হবে আলো। সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হবে গোটা শহর।
তৃতীয় প্রতিশ্রুতি হল, ‘পরিচ্ছন্ন আগরতলা, নির্মল ত্রিপুরা’। চতুর্থটি হল, ‘জন অভিযোগ নিষ্পত্তি’। টোল ফ্রি নম্বর চালু করে শোনা হবে অভিযোগ। রয়েছে ‘সুস্বাস্থ্যর আশ্বাস’। ষষ্ঠ প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়েছে, জলকর দিতে হবে না বাসিন্দাদের। আগরতলায় ওয়াটার এটিএম তৈরির কথা বলা হয়েছে সপ্তম প্রতিশ্রুতিতে। সামাজিক উন্নয়নের জন্য হকারদের বিশেষ ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে। পুরকর্মীদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে একাধিকবার ত্রিপুরায় একের পর এক দলীয় নেতানেত্রীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিল তৃণমূল। শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রচারে তৃণমূলকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে। অশান্তির অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দল যাতে অবাধে প্রচার করতে পারে এবং নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
আরও পড়ুন : Jagdeep Dhankhar: ‘কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে GTA-তে, অমিত মিত্র জবাব দিন’
আগরতলা : সামনেই পুর নির্বাচন আগরতলায় (Agartala)। এই ভোট কার্যত তৃণমূলের মুখরক্ষার লড়াই। বিপ্লব দেব (Biplab Deb) সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত তৃণমূলের (TMC) যে তীব্র বিরোধিতা সামনে এসেছে, তাতে এই ভোট ঘাসফুল শিবিরের জন্য প্রেস্টিজ় ফাইট হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই আগরতলা পুরনিগমের ভোটে কোনও খামতি রাখতে চায় না তৃণমূল। প্রচার শুরু হয়েছে আগেই। এবার আগরতলাবাসীর জন্য ৯ টি প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনি ইস্তাহার (Manifesto) প্রকাশ করল তৃণমূল। আজ মঙ্গলবার, ‘নবরত্ন’ নামে সেই ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে।
এ দিন ইস্তাহার প্রকাশ করতে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, বিধায়ক তথা এ রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়ক জুন মালিয়া, সোহম চক্রবর্তী, ত্রিপুরার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুবল ভৌমিক প্রমুখ।
তৃণমূলের ৯টি প্রতিশ্রুতি মধ্যে রয়েছে, জনসুরক্ষা, জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য, সামাজির সুরক্ষার মতো বিষয়। ক্ষমতায় এলে আগরতলার মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। খানাখন্দহীন সড়ক তৈরির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ফ্রি ওয়াই ফাই, মহিলাদের দ্বারা চালিত পিঙ্ক অটো ও পিঙ্ক ট্যাক্সি রাস্তায় নামানোর কথাও বলা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ক্ষমতায় এলে গোটা শহর মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভিতে। বাসিন্দাদের কর ছাড়ের কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতা পুরসভার ধাঁচে টোল ফ্রি নম্বর চালু করে হ্যালো মেয়র পরিষেবা চালু করার কথা বলা হয়েছে।
ইস্তাহারে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে রয়েছে, ‘উন্নত নগর, উন্নত সমাজ’, বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা সহ একাধিক বিষয় রয়েছে এর মধ্যে। দ্বিতীয়টি হল, ‘নিশ্চিত সুরক্ষা, নিশ্চিন্ত আমরা’। সেখানে বলা হয়েছে, মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পিঙ্ক অটো বা পিঙ্ক ট্যাক্সি নামানোর কথা। এ ছাড়া, রাস্তায় ৩০০ মিটার অন্তর বসানো হবে আলো। সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হবে গোটা শহর।
তৃতীয় প্রতিশ্রুতি হল, ‘পরিচ্ছন্ন আগরতলা, নির্মল ত্রিপুরা’। চতুর্থটি হল, ‘জন অভিযোগ নিষ্পত্তি’। টোল ফ্রি নম্বর চালু করে শোনা হবে অভিযোগ। রয়েছে ‘সুস্বাস্থ্যর আশ্বাস’। ষষ্ঠ প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়েছে, জলকর দিতে হবে না বাসিন্দাদের। আগরতলায় ওয়াটার এটিএম তৈরির কথা বলা হয়েছে সপ্তম প্রতিশ্রুতিতে। সামাজিক উন্নয়নের জন্য হকারদের বিশেষ ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে। পুরকর্মীদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে একাধিকবার ত্রিপুরায় একের পর এক দলীয় নেতানেত্রীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিল তৃণমূল। শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রচারে তৃণমূলকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে। অশান্তির অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দল যাতে অবাধে প্রচার করতে পারে এবং নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
আরও পড়ুন : Jagdeep Dhankhar: ‘কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে GTA-তে, অমিত মিত্র জবাব দিন’