নয়া দিল্লি : রাজ্যসভার নির্বাচনের পর শিয়রেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election)। আগামী ১৮ জুলাই দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ শে জুলাই দেশ পাবে নয়া রাষ্ট্রপতিকে। এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনতে তৎপর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে আজই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি । রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আগামীকাল দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী বৈঠকে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, তিনি বিকেল ৫ টা নাগাদ দিল্লির বিমান বন্দরে পৌঁছবেন। তিনি সেখান থেকে দিল্লির ১৮২ সাউথ অ্যাভিনিউতে যাবেন। প্রতিবারের মতো এবারও দিল্লি সফরে তিনি সেখানেই থাকবেন। এদিন তাঁর সেরকম কোনও কর্মসূচি নেই বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রী এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী শিবিরকে এক জায়গায় আনতে উদ্যোগী তৃণমূল সুপ্রিমো। গত শনিবার দেশের আট অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট ২২ জন বিরোধী নেতাদের চিঠি পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বিজেপি বিরোধী দলকে এক হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। সেই কারণেই আগামী ১৫ জুন বুধবার দুপুর ৩ টেয় দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে একটি বৈঠক ডেকেছেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যেই তাঁর দিল্লি সফর।
মুখ্য়মন্ত্রী চিঠি পাঠিয়েছিলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে.সি. রাও, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান রয়েছেন সেই তালিকায়। এ ছাড়াও দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রীকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানানো হয়েছিল। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছিলেন, আগামীকাল শিবসেনা প্রধান অযোধ্যায় থাকবেন তাই বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা না।