AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC: ত্রিপুরায় পরাজয়ের জন্য পর্যবেক্ষকদেরই দায়ী করলেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি, পাল্টা জবাব রাজীবের

'বিজেপিকে না হারানো পর্যন্ত আমরা ময়দান ছেড়ে যাব না', ত্রিপুরা প্রসঙ্গে দাবি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

TMC: ত্রিপুরায় পরাজয়ের জন্য পর্যবেক্ষকদেরই দায়ী করলেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি, পাল্টা জবাব রাজীবের
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2023 | 12:14 AM
Share

আগরতলা: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য পর্যবেক্ষকেরাই দায়ী। নির্বাচনের শোচনীয় ফল প্রকাশের পর শুক্রবার এমনটাই জানালেন ত্রিপুরার রাজ্য তৃণমূল সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের ঠিকমতো কাজে লাগানো হয়নি। ভোট-প্রচারে অনেক ফাঁক-ফোকর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন।

নির্বাচনে পরাজয় প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেছেন পীযূষ কান্তি বিশ্বাস? ত্রিপুরা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য নাম না করে পারতপক্ষে পর্যবেক্ষকদের দায়ী করেছেন ত্রিপুরার রাজ্য তৃণমূল সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, দলের কর্মীদের কাজ দেওয়া হয়নি। তাঁদের ঠিকমতো কাজে লাগানো হয়নি। এমনকি তারকা প্রচারকরা ভোট প্রচারে আসেননি। সভা স্থির করেও তাঁরা সভা বাতিল করেছেন। এছাড়া রাজ্যে সংগঠন নেই বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন পীযূষবাবু।

কী জবাব দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়?

রাজ্যে সংগঠন না থাকার দায় রাজ্য তৃণমূল সভাপতির উপরেও বর্তায়। যদিও এব্যাপারে সরাসরি কোনও আঙুল তোলেননি ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পরই নির্বাচনের পরাজয়ের জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তবে তারকা প্রচার নিয়ে ত্রিপুরার রাজ্য তৃণমূল সভাপতি যে অভিযোগ তুলেছেন, তা কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “তারকা প্রচার বা প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে কোনও সমস্যা হয়েছে বলে মনে হয় না। প্রার্থী মনোনয়নে ওঁনার (পীযূষ কান্তি বিশ্বাস) মত নেওয়া হয়েছে। অনেকের সমর্থন ছিল না, সভাপতির কথায় মান্যতা দেওয়া হয়েছে।” তবে পীযূষবাবুর এভাবে প্রকাশ্য অভিযোগে তিনি যারপরনাই বিরক্ত। রাজীববাবুর কথায়, “ব্যর্থতার দায় কেউ নিতে চায় না। সবাই সাফল্যের ভাগ চায়। সাফল্য না এলে দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর এটা একটা কৌশল থাকে। কেন উনি প্রকাশ্যে এগুলি বললেন? দলের মধ্যে আলোচনা করলে ভাল হত। ওনার কিছু বলার থাকলে দলকে বলুক।”

তবে ত্রিপুরায় পরাজয়ের পিছবে যে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে, তা এদিনও স্বীকার করে নেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মানুষ বিজেপিকে আনতে চায়নি, বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল বলেও দাবি জানান ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। তাঁর মতে, “অশুভ জোট বাম-কংগ্রেস হয়েছিল। আবার জনজাতিভুক্ত গোষ্ঠী একটা জোট করেছিল। ফলে বিজেপিকে পরাজিত করতে কোন জোট ভাল হবে, কাকে ভোট দিলে ঠিক হবে, সে ব্যাপারে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। এপ্রসঙ্গে তাঁর দাবি, বিজেপিকে হারাতে একমাত্র তৃণমূলই পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারেন, সেটা এই ভোটে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটে পরাজিত হলেও তৃণমূল ময়দান ছাড়ছে না বলেও এদিন স্পষ্ট করে দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।” তাঁর দাবি, “বিজেপিকে না হারানো পর্যন্ত আমরা ময়দান ছেড়ে যাব না।”