নয়া দিল্লি: ভারতে কয়েকদিনে ফের করোনা ভাইরাসে (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল। দেশে আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। প্রায় ৪ মাস পর এত হারে আক্রান্তের খোঁজ মিলল। গত এক সপ্তাহ ধরে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে করোনা সংক্রমণ। করোনা ভাইরাসের থাবা ফের চওড়া হতেই ফের সতর্ক প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবার কী পদক্ষেপ করা হবে তা ঠিক করতে আজ বৈঠকে বসছে শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯১৮। আর এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, দেশে এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৬,৩৫০।
গতকাল আবার দেশে হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত চারমাসে যা সর্বোচ্চ। গতকাল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,০৭০। শেষ হাজারের মতো সংক্রমণ ছিল ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর। তারপর থেকে নিম্নমুখী ছিল করোনা সংক্রমিতের সংখ্য়া। তবে ফের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আবার ফিরছে সেই লকডাউন?তবে পরিস্থিতি যাতে সেদিকে না যায়, সেই বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রবিবার পুনরায় গাইডলাইন জারি করেছে। কেন্দ্রের তরফে জারি করা সেই নির্দেশিকায় অ্য়ান্টিবায়োটিকের লাগামহীন ব্যবহারে লাল সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। বলে হয়েছে, “ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ ধরা না পড়লে অ্য়ান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্যান্য সংক্রমণের পাশাপাশি কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনাও বিবেচনা করা উচিত।” গতকাল এই নির্দেশিকা জারির পর আজ ফের বৈঠকে বসছে শীর্ষ স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। সেই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাই দেখার।