বেঙ্গালুরু: কিছুদিন আগেই বাংলা (West Bengal) থেকে ঘুরে গিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়ে গিয়েছিল তার অনেক আগে থেকেই। কিন্ত, বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেবে কে? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছিল সেই সময় থেকেই। এদিকে বিগত কয়েক বছর ধরে তৃণমূল (TMC) আর কংগ্রেসের (Congress) সম্পর্কটা বিশেষ ভাল যাচ্ছে না। বাংলার মাটিতে বারবার একাদিক ইস্যুত মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। শেষ বিধানসভা ভোটেও সিপিএম, আইএসএফের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল কংগ্রেস। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সেলিম-নওশাদদের সঙ্গে হয়েছে ‘অলিখিত’ জোট। এদিকে এরইমধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল রাহুল ‘স্তূতি’। বসেও ছিলেন রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধীর মাঝে।
কদিন আগে বিরোধী জোটের বৈঠকও হয় পটনায়। এদিন হল বেঙ্গালুরুতে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুল খাড়গে, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল-সহ হাজির ছিলেন বিরোধী শিবিরের ২৬টি দলের নেতারা। এই বৈঠকেই কথা বলতে গিয়ে শুরুতেই সমস্ত দলের নেতাদের অভিবাদন জানান মমতা। বলেন, “অরবিন্দজি, সীতারাম জি, রাজা, হেমন্ত, মান, সিদ্দারামাইয়াজি, শরদ পাওয়ার জি আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই।” নেতাদের নাম বলার সময় মমতা বলেন, আওয়ার ফেভারিট (আমাদের প্রিয়) রাহুল গান্ধী। মমতার মুখে রাহুলের প্রশংসা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
শুধু রাহুল নয়, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেরও এদিন প্রশংসা করেন মমতা। প্রসঙ্গত, তীব্র রাজনৈতিক ডামাডোলে কিছুদিন আগেই মারাঠা ভূমের মসনদ থেকে সরতে হয়েছিল উদ্ধবকে। যদিও মমতার দাবি, “উদ্ধব এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আমি ওঁকে প্রাক্তন বলব না। আগামীতে ওরা আবার আসছে।” তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। এদিকে শীঘ্রই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্য়ালায়েন্স’ বা ‘INDIA’-র সমন্বয় কমিটির ১১ জনের নামও ঠিক হতে চলেছে। পরের বৈঠকেই ১১ জনের নাম সামনে আনা হবে বলে খবর। পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা মুম্বইতে। বিরোধী শিবিরের নেতাদের দাবি, এদিন বৈঠক মোটের উপর বেশ ফলপ্রসূই হয়েছে। একই সুর মমতার গলাতেও।