বিরোধীদের উপর হামলায় চিন্তিত জোড়াফুল শিবির, আগামী সপ্তাহেই ফের ত্রিপুরায় অভিষেক

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 10, 2021 | 4:44 PM

এ দিন আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শাসক দলের বিরুদ্ধে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতেই তিনি আগরতলায় যান।

বিরোধীদের উপর হামলায় চিন্তিত জোড়াফুল শিবির, আগামী সপ্তাহেই ফের ত্রিপুরায় অভিষেক
সোমবারই এই মামলায় আদালত নির্দেশ জারি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ছবি-PTI

Follow Us

আগরতলা: ফের ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রতিবেশী রাজ্য়জুড়ে ফের যে অশান্তির আগুন ছড়িয়েছ, তা জানতে পেরেই ফের ত্রিপুরা (Tripura) সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী  ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি ত্রিপুরায় যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগেই এ দিন আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়েই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে জোড়াফুল শিবিরের। জাতীয় স্তরে রাজনীতিতেও পা রাখতে চাইছে তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্যেই প্রথম গন্তব্য় হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা। আগামী ২০২৩ সালেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এই রাজ্য়ে। বিপ্লব দেবের সরকারকে ফেলে প্রতিবেশী রাজ্যেও বিরোেধী থেকে শাসক দলের তকমা ছিনিয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল।

সেই লক্ষ্যেই অগস্ট মাসেই একাধিকবার ত্রিপুরায় যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবার সেখানে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এরপরে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচির নামে নিত্যদিন প্রতিবেশী রাজ্য়ে যাতায়াত করছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। আপাতত তৃণমূলের লক্ষ্য বুথ ও জেলাস্তরে সংগঠন বাড়ানো। সেই লক্ষ্যেই খেলা হবে দিবসের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিও জোর করে পালন করা হয়েছে ত্রিপুরায়।

এ দিকে, তৃণমূলের উপরে হামলার সমালোচনা করার পর থেকেই রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএমের উপরও হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক জায়গায় দলীয় কার্যালয় ও গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি করে করে চিঠি লিখেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)-ও।

সরাসরি সিপিএমের নাম উল্লেখ না করলেও হামলার সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার রাতে হামলার ঘটনার নিন্দা করে টুইটে অভিষেক লেখেন, “হিংসা এবং গুণ্ডামি এমনভাবে বিজেপির মজ্জাগত যে তারা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকেও নৃশংসভাবে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না”।

বৃহস্পতিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করেন ত্রিপুরায় থাকা সুস্মিতা দেব, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। ঘটনার সমালোচনা করে সুস্মিতা দেব বলেন, “সংবাদ সংস্থার অফিসে এই ধরনের হামলা নজিরবিহীন। বিজেপি এবং ত্রিপুরা সরকারের এই বিষয়ে লজ্জা পাওয়া উচিত। দুষ্কৃতীদের মধ্যে অনেকেই বিজেপির পতাকা বহন করছে, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।”

এদিকে, রাজ্য নগর উন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও বলেছেন, “এটি রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হিংসা। যে সমস্ত সংবাদ সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকে সরকার আক্রমণ করতে পারে না – এটি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ।”

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও অভিযোগ করেছিলেন, শাসক দলের কর্মীরা পরিকল্পিত হামলা করছে ত্রিপুরায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  সূত্রের খবর, শাসক দলের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল, তার পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতেই তিনি আগরতলায় যান। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সফরের পরিকল্পনাও প্রতিবেশী রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপরই স্থির করা হতে পারে। ত্রিপুরায় গিয়েই কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিক এবং জয়া দত্ত আগরতলায় পিবি২৪ এবং প্রতিবাদী কলমের অফিস পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন: ‘হামলার আগেই উধাও সিআরপিএফ’, ত্রিপুরায় দলীয় কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনায় নমোকে চিঠি ইয়েচুরির

Next Article