What India Thinks Today: আগামী কয়েক দশক ধরে বিশ্বে রাজ করবে ভারত, আশাবাদী ডেভিড ক্যামেরন
What India Thinks Today: শনিবার (১৮ জুন), নয়া দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে, TV9 নেটওয়ার্কের দুই দিনের 'হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে' গ্লোবাল সামিটে, TV9 নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাসের সঙ্গে এক কথোপকথনে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, আগামী কয়েক দশক ধরে বিশ্বে রাজ করতে পারে ভারত।
নয়া দিল্লি: আগামী কয়েক দশক ধরে বিশ্বে রাজ করতে পারে ভারত। কারণ, বর্তমানে আমাদের দেশ বিশ্বের একটি প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এমনটাই মনে করেন যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শনিবার (১৮ জুন), নয়া দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে TV9 নেটওয়ার্কের দুই দিনের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ গ্লোবাল সামিটে, TV9 নেটওয়ার্সের সিইও বরুণ দাসের সঙ্গে এক কথোপকথনে অংশ নিয়েছিলেন ক্যামেরন। সেখানেই তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের অর্থনীতির ‘একটি মৌলিক পুনর্নির্মাণ ঘটেছে’। জিএসটি, অনন্য ডিজিটাল পরিচয়, অর্থপ্রদান ব্যবস্থা উন্নত করার মতো বাস্তবোচিত পরিবর্তনগুলি এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, যুক্তরাজ্য প্রাচীনতম। আমাদের গণতন্ত্রের শক্তিকে বুঝতে হবে। যুক্তরাজ্যের সমাজ বহু-সংস্কৃতির। গণতন্ত্র মানে হল আইনের শাসন এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার দান। গণতন্ত্র শুধুমাত্র নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। যে দেশগুলি গণতান্ত্রিক নীতিতে বিশ্বাস করে না, তাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে হবে যুক্তরাজ্য এবং ভারতকে।’ ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে ক্যামেরন মনে করিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটেনে তিনজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্যাবিনেট মন্ত্রী রয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘ভারতে কাউকে রেঞ্জ রোভার বা জাগুয়ার চালাতে দেখলে দারুণ আনন্দ হয়। এগুলি ব্রিটিশ ব্র্যান্ড হলেও ভারতীয় সংস্থাগুলির মালিকানাধীন।’ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার বিষয়েও ভারতকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
বরুণ দাসের সঙ্গে ডেভিড ক্যামেরনের আলোচনায় উঠে এসেছে রাশিয়া এবং পুতিন প্রসঙ্গও। ভ্লাদিমির পুতিনকে কোনও রাখঢাক না করে ক্যামেরন ‘একজন গণহত্যাকারী’ বলেছেন। ইউক্রেনে আক্রমণ করা ‘ভয়ঙ্কর কাজ’ বলেছেন তিনি। ইউক্রেনীয়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে পুতিনের কাজ চালানোর মতো সম্পর্ক ছিল। তবে, সেই দিনের পুতিনের সঙ্গে বর্তমান সময়ের পুতিন অনেক বেশি বিপজ্জনক এবং যুক্তিহীন বলে মনে করেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য বরাদ্দ কমানোর বিষয়ে বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন ক্যামেরন। তাঁর মতে এর ফলে চিনারা টাকার থলি নিয়ে দরিদ্র দেশগুলিকে কিনে নেওটার সুযোগ পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে নম্বর না দিলেও ব্রিটিশ রানি সম্পর্কে অগাধ শ্রদ্ধা ছড়ে পড়েছে ক্যামেরনের গলা থেকে। সম্প্রতি রানি হিসাবে ৭৫ বছর পূর্ণ করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। ক্যামেরন তাঁকে ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জনসেবক’ বলেছেন। তবে, তিনি নিজে আর সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চান না। কারণ তাঁর মতে, ‘যুক্তরাজ্যের মানুষ পুরনো নয়, নতুন জিনিস দেখতে চায়।’