অযোধ্যা: দেখতে-দেখতে কেটে গিয়েছে ৩২ বছর। এই দিনটির জন্য একসময়ে কম আন্দোলন করেননি। বলা যায়, এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে স্বপ্ন পূরণ হল। সোমবার রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় পা দিলেন একসময়ের রাম মন্দির আন্দোলনের পুরোধা তথা বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। আর বহু বছরের স্বপ্ন পূরণ হতে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি। দু-চোখ বেয়ে নামল অশ্রুধারা।
এদিন রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রাক্কালে মন্দিরের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে টুইট করেছেন উমা ভারতী। টুইটের শিরোনামে লিখেছেন, “আমি অযোধ্যয় রাম মন্দিরের সামনে রয়েছি, রামলালার প্রতীক্ষায় রয়েছি।” স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পরই ৩২ বছর ৪৬ দিন পর এদিন অযোধ্যায় পা রাখলেন উমা ভারতী।
এদিন রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাম মন্দির আন্দোলনের আরেক নেত্রী সাধ্বী ঋতম্ভরা। তাঁকে দেখে আলিঙ্গন করেন উমা ভারতী। দুজনেই বেশ কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ হয়ে থাকেন এবং দু-চোখ বেয়ে নেমে আসে অশ্রুধারা। রাম মন্দির আন্দোলনের দুই নেত্রীর আবেগঘন আলিঙ্গনের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়ে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
উমা ভারতী ছাড়াও রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি থেকে আরএস প্রধান মোহন ভাগবতও এদিন নবনির্মিত রাম মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সকলের দীর্ঘ লড়াই যেন এদিন পূর্ণতা পেল।
मैं अयोध्या में राम मंदिर के सामने हूं, रामलला की प्रतीक्षा हो रही है।@BJP4India @BJP4MP @ShriAyodhya_ @RamNagariAyodhy pic.twitter.com/2NDjQZhQxH
— Uma Bharti (@umasribharti) January 22, 2024
এদিন তিথি মেনে দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট নাগাদ রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্দিরে বিগ্রহের যে মূর্তিটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, সেটি ৫ বছর বয়সি রামলালার আদলে করা হয়েছে। এদিন বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আজ দেশবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হল।” সেজন্য এদিন দেশজুড়ে দীপাবলি উৎসব পালনেরও আহ্বান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অযোধ্যা-সহ গোটা দেশে পালিত হয়েছে অকাল দীপাবলি।