‘ব্যর্থতা ঢাকতেই টিকার আকালের অভিযোগ’, ঠাকরে সরকারকে কড়া জবাব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Apr 08, 2021 | 11:59 AM

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, গোটা দেশের করোনা টিকার সরবরাহের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকেও অবগত করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনের ঘাটতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

ব্যর্থতা ঢাকতেই টিকার আকালের অভিযোগ, ঠাকরে সরকারকে কড়া জবাব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্রে দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিন(COVID-19 Vaccine)র আকাল। একাধিক কেন্দ্রে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত টিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার। তারই জবাবে এ বার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) বললেন, “করোনা সংক্রমণে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই ভ্যাকসিনের ঘাটতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেখানে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে কিছু রাজ্য সরকার সংক্রমণ রোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। কোভিড-১৯ নিয়ে রাজনীতি করা ও ভ্যাকসিনের সরবরাহ ঘাটতি নিয়ে যে ভয় ছড়ানো হচ্ছে, তাতে কিছু নেতাদের ব্যর্থতার দিকেই ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। আমাদের উচিত করোনা সংক্রমণকে হারানোর কাছে নজর দেওয়া।

মহারাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করে হর্ষ বর্ধন বলেন, “নির্দিষ্টভাবে মহারাষ্ট্রের তরফে ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি মহারাষ্ট্র সরকারের সংক্রমণ রোখার ব্যর্থতাকে ঢাকার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। মহারাষ্ট্র সরকারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বোঝার উর্ধ্বে।”

আরও পড়ুন: করোনার কামড় থেকে বাঁচতে কঠোর নিউজিল্যান্ড, ভারতীয়দের প্রবেশে জারি নিষেধাজ্ঞা

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা টিকার সরবরাহের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকেও অবগত করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনের ঘাটতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজ্য সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা গোটা দেশের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

কেবল মহারাষ্ট্রই নয়, ছত্তীসগঢ় সরকারও কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর সমালোচনার মুখে পড়েন। জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার (ছত্তীসগঢ়) কোভাক্সিন নিয়ে অস্বীকার করে। কেবল এটিই নয়, রাজ্যসরকারের নেতাদের ব্যবহারেও মনে হচ্ছে যে এটিই হয়তো বিশ্বের একমাত্র সরকার যারা ভ্যাকসিন নিয়েও ইতস্ততবোধ করেছে।”

কর্নাটক, রাজস্থান ও গুজরাটেও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।পঞ্জাবে করোনা সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হার সর্বাধিক হওয়ায়, সেখানে আক্রান্তের দ্রুত চিহ্নিতকরণ প্রয়োজন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ দিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনার জবাবে শিবসেনার কর্মী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী (Priyanka Chaturvedi) বলেন, “এই ঘটনা একদিকে যেমন আমায় দুঃখ দিয়েছে, তেমনই বিরক্তও বোধ করছি। কেন্দ্রকে সঠিক উদ্দেশ্য নিয়েই চিঠি লেখা হয়েছিল, আশা করা হয়েছিল কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা মিলবে। কারম তিনি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র নন। কিন্তু উনি যা জবাব দিলেন, তা কেবল রাজনৈতিকই নয়, একইসঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যকে আক্রমণও করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News: সব রেকর্ড ছাপিয়ে এক দিনে ভারতে আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৬ হাজার, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় নিলেন মোদী

Next Article