নয়া দিল্লি: কিছুতেই নিস্তার মিলছে না করোনা (COVID-19) থেকে। চিনে (China) ফের একবার বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। আমেরিকা, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইজরায়েলেও ওমিক্রনের (Omicron) নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। দেশে যাতে ফের একবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, তা নিশ্চিত করতেই বুধবার কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। সরকারি সূত্রে খবর, বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া নজরদারির পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genome Sequencing) করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চিনে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পার করেছে, যা বিগত দুই বছরে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে, ব্রিটেনেও মঙ্গলবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯ হাজার ৮০২-তে পৌঁছে গিয়েছে। সংক্রমণ বাড়ছে স্কটল্যান্ড, আমেরিকাতেও। সেদেশে একধাক্কায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণ। জানা গিয়েছে, ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২-র জেরেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলিতে।
বাকি দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তেই দেশেও করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। সেই কারণেই বুধবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, ফার্মা সচিব ও কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রধান পরামর্শদাতা। এছাড়াও নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল, আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ বলরাম ভার্গবও। বৈঠকে করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও আলোচনা করা হয়। আগামী ২৭ মার্চ থেকেই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। এখনও অবধি সেই সিদ্ধান্তে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
এক আধিকারিক জানান, প্রতিবেশী দেশ চিন, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুরে ক্রমশ করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এছাড়া ইউরোপের একাধিক দেশেও সংক্রমণ বাড়ছে। এই দেশগুলি থেকে ভারতেও ফের একবার করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মূলত তিনটি বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন, সেগুলি হল নজরদারি বাড়ানো, জিনোম সিকোয়েন্সিং ও দেশজুড়ে কড়া সতর্কতা।