COVID-19 XE Variant: ভারতে এখনও প্রবেশ করেনি XE ভ্যারিয়েন্ট, যাবতীয় জল্পনা ওড়াল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
COVID-19 XE Variant: স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত ওই মহিলার নমুনার ফাস্টকিউ ফাইল আইএনএসএসিওজির জিনোম বিশেষজ্ঞরা যাচাই করে দেখেছেন।
মুম্বই: বিশ্বে ফের একবার মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ(COVID-19)। চিন, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া সহ একাধিক দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে দেশে দেখা গিয়েছে ঠিক উল্টো চিত্রটাই, করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই তুলে নেওয়া হয়েছে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ। তবে করোনা থেকে কি সত্যিই মুক্তি মিলেছে? বুধবারই ফের একবার করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, এক্সই (XE Variant)-র খোঁজ মিলেছে ভারতে, এমনটাই জল্পনা শুরু হয়। তবে বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তরফে জানানো হয়, বর্তমানে ভারতে করোনার কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলেনি।
বুধবারই মুম্বইয়ে বিদেশ ফেরত এক যাত্রীর করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপরই গুজব ছড়ায় যে, ওই ব্যক্তি এক্সই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মুম্বইয়ে যে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, তা করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নয়। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফেও টুইট করে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত ওই মহিলার নমুনার ফাস্টকিউ ফাইল আইএনএসএসিওজির জিনোম বিশেষজ্ঞরা যাচাই করে দেখেছেন। সেখানেই জানা গিয়েছে, আক্রান্তের জিনোমের সঙ্গে এক্সই ভ্যারিয়েন্টের মিল পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই যাত্রী একজন ৫০ বছর বয়সী মহিলা। তাঁর কোনও কো-মর্ডিবিটি নেই এবং তিনি সম্পূর্ণ উপসর্গহীনও। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন। এর আগে তাঁর কোনও ভ্রমণের ইতিহাস ছিল না। যখন তিনি মুম্বইয়ে ফিরেছিলেন, সেই সময় করোনা পরীক্ষা করা হলেও, তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভই এসেছিল।
বুধবার বৃহ্ণমুম্বই পুরসভার তরফে জানানো হয়, মুম্বইয়ে করোনার একাধিক নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হলে তার মধ্যে ২৩০টি নমুনাই এক্সই ভ্যারিয়েন্ট পজেটিভ এসেছে। সম্প্রতিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, ব্রিটেনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সই-র খোঁজ মিলেছে। এটি করোনার বিএ.২, যা ওমিক্রন নামে পরিচিত, তার থেকেও বেশি সংক্রামক হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ওমিক্রনের বিএ.১ ও বিএ.২ মিলিত হয়ে এই ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে ব্রিটেনেই প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে। এরপরে এখনও অবধি ৬০০ জনের নমুনায় নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও এই ভ্যারিয়েন্ট ফের করোনার নতুন ঢেউ তৈরি করার ক্ষমতা রাখে কিনা, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।