নয়া দিল্লি ও কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্বেই বিক্ষিপ্তভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ। কোথাও মনোনয়ন জমা দিতে বাধা। আবার কোথাও মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ। এসব নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নাগাড়ে বিঁধে যাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। আর এবার, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে অশান্তির আঁচ পৌঁছে গেল দিল্লির রাজনীতির অলিন্দেও। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অশান্তির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদীর ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। বললেন, ‘বাংলা জ্বলছে। একইসঙ্গে বাংলার নাম, ঐতিহ্যও জ্বলছে। আর এই জ্বালানোর কাজ করছেন মমতা দিদির দলের লোকেরা।’
বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্তির অভিযোগের সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘যে বাংলাকে একসময় লোকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দের নামে চিনতেন। সেই বাংলার নাম এখন বদনাম হচ্ছে। হিংসা, তুষ্টিকরণ, অরাজকতা, ভ্রষ্টাচার আজ বাংলার নিউ নর্মালে পরিণত হয়েছে। কারণ, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই আবার সাধারণ মানুষের উপর হিংসা শুরু হয়ে গিয়েছে।’
যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল চায় একশো শতাংশ আসনেই যাতে ঠিকভাবে ভোট হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে আগ্রহী নয় তৃণমূল শিবির, সেই বিষয়টিও এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন শাসক দলের মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরাও একশো শতাংশ (আসনে) লড়াই চাইছি। আমরা বিনা লড়াইয়ে জিততে চাইছি না। ওরা লোক দিক, ওদের ভোট ব্যাঙ্ক তো বামেদের ভোট ব্যাঙ্ক।’
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জায়গায় জায়গায় হিংসা ও অশান্তির অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। আর এবার এক দফাতেই ভোট আয়োজন করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু এসবের মধ্যে মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্তভাবে গোলমালের অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে।