নয়া দিল্লি: ১০০ দিনে কাজের বকেয়া কাজের টাকা আদায় করতেই দিল্লিতে ধরনা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখার করার। কিন্তু মঙ্গলবার কৃষিভবনে ধরনা দিতে গিয়েই আটক হন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতৃত্ব। এদিকে, গতকাল রাতেই কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি দাবি করেন, তৃণমূলের প্রতিনিধি দল দেখা করবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন। রাত সাড়ে আটটা অবধি বসে থাকার পরও কেউ দেখা করতে আসেননি। পাল্টা জবাব দেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মাঝে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুলুমবাজি চলছে।”
এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, “দিল্লিতে যেভাবে কৃষি মন্ত্রকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনকে রাত সাড়ে আটটা অবধি দফতরে অপেক্ষা করানো হয়। কোনও সাংসদ বা মন্ত্রী দেখা করতে আসেননি। ৫০০ লোক নিয়ে যেখানে সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। অরাজকতা চলছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা-রাজে অরাজকতা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গকে ২ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। শুধু এমজিএনআরইজিএ-তেই ৫৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতির আখাড়া হয়ে উঠেছে। এই লুঠ লুকোতেই অরাজকতা করছে। ওই চুরিকে ঢাকতেই এইসব করা হচ্ছে।”
#WATCH | Begusarai, Bihar: Union Minister Giriraj Singh says, “MoS Sadhvi Niranjan Jyoti kept waiting till 8:30 pm in the Krishi Ministry but no MP or minister came to meet her…In Bengal, under Mamata Banerjee’s government, we gave more than Rs 2 lakh crores…They have… https://t.co/2sGDV4PRhN pic.twitter.com/2wb8H9wEDr
— ANI (@ANI) October 4, 2023
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই কেন্ত্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন নিজের দফতরের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন এক্সে (টুইটার)। সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, “আড়াই ঘণ্টা সময় নষ্ট হল। তৃণমূল সাংসদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আমি। রাত সাড়ে আটটা অবধি অপেক্ষা করে বের হলাম। সন্ধে ৬টায় আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় নিয়েছিল তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীরা।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন সাধ্বী নিরঞ্জন।