দেহরাদুন: ১৭০ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, এখনও চোখে পড়েনি সূর্যের কিরণ। চারিদিকে শুধুই ঘুটঘুটে অন্ধকার। ভরসা শুধু একটা পাইপ। সেই পাইপ দিয়েই খাবার-পানীয় জল ও ওষুধ পাঠাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। চোখে যাতে অন্ধকার নেমে না আসে, তার জন্য মাঝে মধ্যেই কথাও বলছেন। বাইরে উৎকন্ঠায় দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যরা, নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের ভিতরে এখনও আটকে ৪০ শ্রমিক। এক সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের, এখনও সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি। রবিবার উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করী। তিনি জানান, যদি অগার মেশিন সঠিকভাবে ড্রিলিং বা গর্ত খুঁড়তে পারে, তবে চার-পাঁচ দিন নয়, আগামী দুই দিনের মধ্যেই আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে।
চার ধাম প্রকল্পের অধীনে তৈরি এই সুড়ঙ্গ উত্তরকাশী ও যমুনেত্রীকে জোড়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। গত সপ্তাহের রবিবার, দীপাবলির দিন ওই নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নামে। আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। গতকাল, রবিবার উদ্ধারকাজ কতদূর এগোল, তা দেখতে যান কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। সুড়ঙ্গের সামনের রাস্তা থেকে শুরু করে সুড়ঙ্গের ভিতরে কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাবতীয় খতিয়ে দেখেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আটকে পড়া শ্রমিকদের জীবিত রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যদি অগার মেশিন ঠিকভাবে কাজ করে, তবে দুই-আড়াইদিনের মধ্যেই শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে পারব আমরা। বিশেষ মেশিন আনতে নতুন রাস্তা তৈরি করছে বিআরও। ইতিমধ্যেই একাধিক মেশিন আনা হয়েছে। বর্তমানে দুটি অগার মেশিন খননকাজ চালাচ্ছে।”
অন্য়দিকে, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীও বলেন, “সকলের প্রাণ বাঁচানোই আমাদের প্রাধান্য। এর জন্য সরকার উদ্ধারকারী দলগুলিকে সবরকমের সহযোগিতা করতে রাজি। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি আটকে পড়া শ্রমিকদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয় কারণ যত দিন পার হচ্ছে, ততই ওঁদের বিপদ বাড়ছে।”