নয়া দিল্লি: শ্বেত-শুভ্র কাপড়ে মোড়া আসন। পাশে তেরঙ্গা পতাকা। পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি। শিক্ষা মন্ত্রকের ডেপুটির আসনে আজ প্রথমবার বসলেন সুকান্ত মজুমদার। ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি গায়ে শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপকমশাই। বাংলায় যখন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ, ঠিক সেই সময় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের ডেপুটি হিসেবে গুরু দায়িত্ব পেলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রথম দিনেই বেআইনিভাবে চাকরি-প্রাপকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্তবাবু বলেন, “যাঁরা নিজেরা পরীক্ষা দিয়ে, নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কষ্টটা আমরা বুঝি। কারণ আমি নিজেও এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে স্কুলে এক বছর চাকরি করেছি। যাঁরা নিজেদের মেধার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা আছি। কিন্তু যাঁরা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, আজ না হোক কাল, তাঁদের তো চাকরি যেতেই হবে।”
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নাতির অভিযোগ ঘিরে বিগত কয়েক বছরে তোলপাড় হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও জেলবন্দি তিনি। রাজ্যের একাধিক শীর্ষ আমলাও গ্রেফতার হয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “বিগত কয়েক বছরে বাংলাতে যেভাবে ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বাংলার তথা বাঙালির মান-সম্মান অনেকটাই নোংরা হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলের মধ্যে রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি এবং আমি একই সঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি-তে এনরোল করেছিলাম। এটা আমাদের কাছে খুব একটা গর্বের নয়।” পাশাপাশি সুকান্ত এও জানান, এটা সাময়িক অবস্থা, এটা বাংলার চিরন্তন পরিচয় নয়। সকলে মিলে চেষ্টা করে বাংলাকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী।