Piyush Goyal: ‘কেউ প্রাঙ্ক করেছে’, বিরোধীদের ফোন হ্যাকের অভিযোগ ওড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Opposition Phone Hacking Claim: বিরোধী নেতাদের কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "বর্তমানে বিরোধীরা অত্যন্ত দুর্বল একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেই কারণে তাঁরা সবকিছুর মধ্যেই দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছেন। আসল সত্যিটা হল অ্যাপেল নিজেও জানিয়েছে যে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়েছে, ১৫০টি দেশের বহু মানুষের কাছে এই মেসেজ এসেছে।"
নয়া দিল্লি: বিরোধী নেতাদের নাকি ফোন হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে! আইফোনে সেই সতর্কবার্তাও এসেছে। মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর দাবিকে সমর্থন জানান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। তাঁদের সকলের আইফোনেই হ্যাকিংয়ের সতর্কবার্তা এসেছে বলে দাবি। বিরোধীদের এই দাবিকে উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর কথায়, বিরোধী নেতাদের সঙ্গে নিশ্চয়ই কেউ প্রাঙ্ক বা মজা করেছেন।
মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, “আমার মনে হয় বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কেউ প্রাঙ্ক করেছে। ওঁদের উচিত অফিসিয়ালি অভিযোগ দায়ের করা। সরকার ওই অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ করবে।”
বিরোধী নেতাদের কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে বিরোধীরা অত্যন্ত দুর্বল একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেই কারণে তাঁরা সবকিছুর মধ্যেই দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছেন। আসল সত্যিটা হল অ্যাপেল নিজেও জানিয়েছে যে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়েছে, ১৫০টি দেশের বহু মানুষের কাছে এই মেসেজ এসেছে। মনে হচ্ছে, অ্যাপেলের দিক থেকে কোনও সমস্যা হয়েছে। এছাড়া হ্য়াকাররাও খুব সক্রিয়। এর তদন্ত হবে। অ্যাপেলকেও এই তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছে।”
পীযূষ গয়াল আরও বলেন, “ওরা (বিরোধী) যা কিছু দাবি করতে পারে, কিন্তু গোটা দেশ ওদের অবস্থা জানে। নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বেই ব্যস্ত। আমাদের উপরে মন্তব্য না করে নিজেদের দুর্বলতার দিকে নজর দেওয়া উচিত ওদের। সরকারের এতে (অ্যাপেলের হ্যাকিং বার্তায়) কোনও ভূমিকা নেই। সরকারের কোনও প্রয়োজনও পড়েনি এই ধরনের কোনও কাজ করার।”
মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রথম ফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টার অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, তাঁর আইফোনে একটি সতর্কবার্তা এসেছে যেখানে বলা হয়েছে, তাঁর ফোন হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, জেনারেল সেক্রেটারি কেসি বেণুগোপাল, আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা, শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীও দাবি করেন, তাঁদের ফোনে হ্যাকিংয়ের সতর্কবার্তা এসেছে। সকলেই একযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন।