দেশ: দেশজুড়ে কয়লা খনিতে কয়লা সঙ্কট (Coal Shortage) নিয়ে বড় আকারের সমস্যা চলছে। দিল্লির প্রধানমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন এ নিয়ে। তিনি আশঙ্কা করেছেন, আগামী দু’দিনে কয়লা সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি না হলে দেশের রাজধানীও লোডশেডিংয়ের আঁধারে ডুবে যেতে পারে। তবে এসব কিছুকেই ‘অহেতুক আতঙ্ক’ বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরকে সিং (Union minister for power RK Singh )। সারা দেশকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, “কয়লার ঘাটতি নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।”
কয়লা সঙ্কট নিয়ে কয়েকদিন আগে নিজেই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী। তবে এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কয়লা সঙ্কট নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বোঝাবুঝির ভুলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, গেইল (GAIL) এবং টাটা (Tata) -র বোঝাবুঝির ভুলে এই পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী সহ ৬ রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে যে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, এনিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী বলছেন, “আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শক্তি আছে… সমগ্র দেশকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। যে চাইবে, আমাকে চাহিদা বলুন, আমিই তাঁদের সরবরাহ করব।”
তিনি এও জানান, দিল্লিতেও কয়লা সরবরাহ অব্যাহত থাকছে এবং রাজধানীতে কোনও লোডশেডিং হবে না। চার্জ নির্বিশেষে দেশীয় বা আমদানিকৃত কয়লার সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। কোন অবস্থাতেই গ্যাস সরবরাহ কমছে না বলে আশ্বাসবাণী দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিকে গত সপ্তাহ ধরে গুজরাট, পঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লি এবং তামিলনাড়ু সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার ঘাটতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। পঞ্জাবের বেশ কয়েকটি জায়গায় লোডশেডিং-ও হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলে নিলেই আশ্বস্ত হয়ে যেতেন। রাজ্যপালের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। কোনওভয় নেই কয় সঙ্কট নিয়ে। জানা যায়, অতি বর্ষণের কারণে বেশিরভাগ কয়লা খনি থেকে উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছিল। বহু খনিতে জল ভরে যাওয়ার কারণেও কয়লা তুলতে সমস্যা হচ্ছে। তাই উত্তোলনের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।বিপদ বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার বাড়তে থাকা দাম। ভারতের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি দেশের কয়লার উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এই সময় দেশের বেশিরভাগ কয়লা খনি অঞ্চলে বৃষ্টিও বেড়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও জানান, বর্ষার মরসুমে খনিগুলোও প্লাবিত হয়। আর বর্ষার সময় নিয়মিতভাবে সরবরাহ কমেও যায়। তাই চাহিদা বাড়তে থাকে। অক্টোবরে চাহিদা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়লার ভাণ্ডার আবার বাড়তে শুরু করবে। তিনি আরও বলেন, আগে নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত আমাদের ১৭ দিনের কয়লা মজুত ছিল।
সবশেষে কংগ্রেসকে একহাত নেন আরকে সিং। বলেন, “কংগ্রেস সরকারের উচিত ছিল তাদের সময়ে লোডশেডিং না করে, তাদের আমলে কয়লার রিজার্ভ বাড়ানো, তাহলে এসব সমস্যা হত না”।
আরও পড়ুন: Coal Shortage: কয়লা সঙ্কটে অন্ধকারে ডুববে না তো পুজোর কলকাতা? কী জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী