Coal Shortage: কয়লা সঙ্কটে অন্ধকারে ডুববে না তো পুজোর কলকাতা? কী জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী

Power Minister: যে পরিমাণে কয়লা মজুত আছে, তাতে পুজোর মরশুমে কোনও সমস্যা হবে না। এমনকি তার পরেও কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

Coal Shortage: কয়লা সঙ্কটে অন্ধকারে ডুববে না তো পুজোর কলকাতা? কী জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী
সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 7:09 PM

কলকাতা: যে পরিমান কয়লা (Coal) রাজ্যের কাছে মজুত আছে, তাতে শুধু পুজোর মধ্যে নয় আগামী দেড় থেকে দু’মাস কোনও রকম বিদ্যুৎ (Power) ঘাটতি হবে না। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী (Power Minister) অরূপ বিশ্বাস (Arupo Biswas) কে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার (West Bengal State Electricity Distribution Company) সিএমডি শান্তনু বসু (Shantanu Sen)। গত কয়েকদিন ধরেই দেশে কয়লার সঙ্কটের বিষয়টি প্রকট হয়েছে। রাজ্যের কী অবস্থা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শান্তনু বসু বলেন, ‘এখন আমাদের পুজোর সময় প্রতিদিন ১৮ রেক কয়লা লাগছে। এক একটি রেকে থাকে ৩৫০০ মেট্রিক টন কয়লা। পুজোর দিন গুলি বাদে অন্য সময় আমাদের প্রয়োজন হয় ১৫ টি রেক। আমাদের যে পাঁচটি কয়লা খনি রয়েছে সেগুলি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাল কয়লা আসায় কোল ইন্ডিয়ার ওপরে আমাদের নির্ভরতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, গত বছর পর্যন্ত যেখানে কোল ইন্ডিয়ার ওপর ৮০ শতাংশ নির্ভরশীল থাকতে হতো, এখন তা ৩০ শতাংশে নেমে গিয়েছে।

দেশজুড়ে কয়লা খনিতে কয়লা সঙ্কট নিয়ে বড় আকারের সমস্যা চলছে। কিন্তু তার প্রভাব রাজ্যে পড়বে না বলেই তিনি আশ্বস্ত করেছেন। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, কয়লা পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকায়, পুজোর মরশুমে কোনও সমস্যা হবে না। এমনকি তার পরেও কোন রকম সমস্যা হবে না বলেই তিনি জানিয়েছেন।

এই সঙ্কট নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং। এক সর্বভারতী সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এ বারের সঙ্কট অন্যান্য সময়ের মতো নয়। তাঁর কথায়, “আমি এটা বলতে পারব না যে আমরা পুরোপুরি নিরাপদ। আমাদের কাছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রয়েছে। যা দিয়ে তিন দিনের কম সময় চালানো যাবে। সুতরাং আমরা নিরাপদ নই।”

আজ বৃহস্পতিবার থেকে একাদশী পর্যন্ত সাত দিন ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রী প্রত্যেকদিন কন্ট্রোল রুমে যাবেন। প্রতিটি জেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রিজিওনাল ম্যানেজার কন্ট্রোল রুম গুলির দায়িত্বে থাকবেন। সাবস্টেশন গুলোর দায়িত্বে থাকবে সাবস্টেশন ম্যানেজাররা। সব কন্ট্রোল রুমের মাথায় থাকবে জোনাল ম্যানেজাররা। আজ দ্বিতীয়ায় দুপুর ১ টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ৩৭ হাজার ৯৫০ টি পুজো কমিটি ও বারোয়ারিকে এবং সিইএসসি ৪৬৫৮ টি পুজো কমিটি ও বারোয়ারিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। এ দিন বিদ্যুৎ মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অধীনস্থ এলাকার জন্য এবং সিইএসসি এলাকার জন্য দুটি করে কন্ট্রোল রুম নম্বর চালু করেন।

মন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, সিইএসসি’র কন্ট্রোল রুমের নম্বরও পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা থাকবে। এই ফোন নম্বর গুলিতে যে কেউ ফোন করতে পারেন, হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারেন এবং ছবি করে পাঠিয়ে দিতে পারেন। অভিযোগ পেলে মত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অধীনস্থ এলাকায় ৩৭৫.৫ মেগাওয়াট, সিইএসসি এলাকায় ৪০ মেগাওয়াট। আগামী ষষ্ঠী থেকে এই চাহিদা ৬০০০ থেকে ৭০০০ ছাড়িয়ে যাবে বলেই বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Durgapuja Guidelines: সিঁদুরখেলা থেকে অঞ্জলি সবই করা যাবে এবারের পুজোয়! নতুন নির্দেশিকায় আর কী কী বিষয়ে ছাড় হাইকোর্টের?