নয়া দিল্লি : উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে রাজনৈতিক মহল। বলা হয়, উত্তর প্রদেশের ফলই নাকি দিল্লির ভবিষ্যৎ নির্ণয় করে। কিন্তু সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি, উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন, তার প্রভাব পড়বে না ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘একসময় উত্তর প্রদেশের ভোটে হারের পরও দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি।’
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘যে বা যারা রাজনীতিতে মেরুকরণের চেষ্টা করছে, মেরুকরণের জন্য যা কিছু করা হচ্ছে, তার সবটাই সীমাবদ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই ভাবেন, উত্তর প্রদেশের ভোটে যা ফল হবে, তার প্রভাব পড়বে লোকসভায়। কিন্তু, আমি সেই তত্ত্ব মানতে পারি না। ২০১২-তে উত্তর প্রদেশে ৩ বা ৪ নম্বর স্থানে ছিল বিজেপি। বিপুল জয় পেয়েছিল সমাজবাদী পার্টি। কিন্তু তার কোনও প্রভাব ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে পড়েনি।’
২০২২- এ উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কী হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর সরাসররি না দিলেও প্রশান্ত কিশোর বলেন, ২০২২- এ যদি বিজেপি উত্তর প্রদেশে শেষ হয়ে যায়, তাহলে ২০২৪-এ বাকি জায়গাতেও শেষ হয়ে যাবে। ২০২২- এর বিধানসভা নির্বাচন কখনই ২০২৪-এর সেমি ফাইনাল নয়। ২০২৪- এর আগে আরও একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মাস খানেক আগেই ভোট কুশলী বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছিলেন, আগামী দশকের পর দশক, ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বিজেপিই। গত অক্টোবরে এক অনুষ্ঠানে প্রশান্ত বলেন “জিতুক হারুক ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রতেই থাকবে বিজেপি। তাঁরা যদি সর্বভারতীয় স্তরে ৩০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করে তবে রাজনীতিতে বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। সাধারণ মানুষের মোদীর প্রতি রাগ আছে বলে তারা মোদীকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে, এই ফাঁদে দয়া করে পা দেবেন না। মানুষ যদি মোদীকে পরাজিতও করে, তাতেও বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা আগামী কয়েক দশক অটুট থাকবে।”
আরও পড়ুন : 7th Pay Commission: নতুন বছরে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মাইনের পাশাপাশি মোদি সরকার বাড়াতে চলেছে ভাতা