Uttar Pradesh IPS officer: ডাকাত ধরেছে! পুলিশের হেল্পনলাইন নম্বরে ফোন IPS Officer-র, বাকিটা ভিডিয়োতে দেখুন
Uttar Pradesh: আউরাইয়া পুলিশের টুইটার মারফত গোটা ঘটনার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর ১১২ তে ফোন করে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই আইপিএস অফিসার।
লখনউ: বর্তমান সময়ে সমাজ সংস্কার ও অপরাধমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার গোটা দায়িত্বটাই পুলিশের। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশের বিরদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না করার অভিযোগ ওঠে। সেই সমস্যা সমাধানে এবার মাঠে নামলেন উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক। উত্তর প্রদেশে আউরাইয়ার পুলিশ সুপার চারু নিগমের কাণ্ড-কারাখানা যে হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য। আউরাইয়া পুলিশের টুইটার মারফত গোটা ঘটনার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর ১১২ তে ফোন করে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই আইপিএস অফিসার। ফোন করে তিনি বলেন, সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা ডাকাতির জন্য হানা দিয়েছে। প্রকাশিত ভিডিয়োতে মুখ ঢেকে ওই আইপিএস অফিসারকে নিজের পরিচয় গোপন করতে দেখা গিয়েছে। টুইটে জানানো হয়েছে, জেলা পুলিশের নজরদারি ব্যবস্থা খতিয়ে দেওয়ার জন্যই পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ভুয়ো ডাকাতির কথা জানিয়েছিলেন ওই আইপিএস অফিসার। কিন্তু জেলা পুলিশের তৎপরতায় সন্তুষ্ট হয়েছেন চারু নিগম।
जनपदीय पुलिस के रिस्पांस टाइम व सतर्कता को चेक करने हेतु पुलिस अधीक्षक औरैया @ipsCharuNigam ने स्वयं की पहचान छुपाते हुए सुनसान रोड पर तमंचे के बल पर बाइक सवार अज्ञात व्यक्तियों द्वारा झूठी लूट की सूचना कंट्रोल रूम व डायल112 पर दी गयी जिसमे जनपदीय पुलिस की कार्यवाही संतोषजनक रही। pic.twitter.com/I4n3yJoUHP
— Auraiya Police (@auraiyapolice) November 3, 2022
প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে কন্ট্রোল রুমে থাকা পুলিশ কর্মীকে ওই আইপিএস অফিসার বলেন, “হ্যালো, আমি সরিতা চৌহান বলছি। দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতী আমাকে লুট করার চেষ্টা করছে।” ফোন পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই মহিলা বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হয় পুলিশের একটি দল। সেই সময় মুখ ঢেকে রেখেছিলেন ওই আইপিএস। পুলিশ এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর অভিযোগ শুনেই কাজে নেমে পড়ে এবং দুষ্কৃতীদের হদিশ পাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন করতে শুরু করে। মাস্ক, ওড়না এবং রোদচশমা পড়ে পুলিশকর্মীদের থেকে সে তাঁর পরিচয় গোপন করেছিল। এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরও পুলিশ কর্মীরা দুষ্কৃতীদের হদিশ না পাওয়ায় শেষমেশ নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন ওই আইপিএস অফিসার। এমনকী জেলার পুলিশের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। গোটা ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
৩ নভেম্বর আউরাইয়া পুলিশের তরফে ভিডিয়োটি প্রকাশ করা হয়েছে। আইপিএস অফিসারের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন নেটিজ়েনরা। তাদের মতে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের তরফে মাঝে মধ্যেই এই ধরনের সারপ্রাইজ ভিজিট করা প্রয়োজন। নেটিজেনরা সকলেই পুলিশ সুপারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। যদিও নেটিজেনদের একাংশ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, তাদের মতে গোটা ঘটনাটি সাজানো।