AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Father killed daughter: স্বামীর ঘর করতে নারাজ, মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন বাবা

UP: যুবতীকে স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রায়শই বলতেন তাঁর বাবা। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি ফিরে যেতে কিছুতেই রাজি ছিলেন না ওই যুবতী। এ নিয়ে বাবার সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি শুরু মেয়ের।

Father killed daughter: স্বামীর ঘর করতে নারাজ, মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন বাবা
প্রতীকী চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2023 | 8:30 AM
Share

সিরসা: ঘটা করে বিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে মন বসে না মেয়ের। বিয়ের পর থেকেই প্রায়শই চলে আসতেন বাপের বাড়িতে। মাস কয়েক আগে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে আসেন বাপের বাড়ি। তার পর থেকে সেখানেই থাকা শুরু করেন। ওই যুবতীকে স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রায়শই বলতেন তাঁর বাবা। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি ফিরে যেতে কিছুতেই রাজি ছিলেন না ওই যুবতী। এ নিয়ে বাবার সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি শুরু মেয়ের। সেই ঝামেলার সময়ই নিজের মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের সিরসার ভারতনগরের কাছে। ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার হাতে খুন হওয়া ওই যুবতীর নাম মনিকা। ৩০ বছরের ওই যুবতীর সঙ্গে চিরঞ্জিত নামের এক যুবকের বিয়ে হয়েছিল। ২০০৮ সালে তাঁদের দুজনের বিয়ে হয়। প্রায়শই শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে এসে থাকতেন তিনি। ২০২২ সালের অগস্টে পুরোপুরি চলে আসেন তিনি। যা নিয়েই অসতুষ্ট ছিলেন তাঁর বাবা ভেদপাল।

ঘটনা নিয়ে মৃতের ভাই মিত্রসেন জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে এসে থাকা নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর বাবার। তিনি প্রায়শই বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া করতেন। মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, সম্প্রতি মত্ত অবস্থায় এসে তাঁর বোনকে হেনস্থাও করেছেন তাঁর বাবা। ১১ জানুয়ারি মদ খেয়ে এসে ফের হেনস্থার চেষ্টা করেন ভেদপাল। তখন মনিকাকে চ্যালা কাঠ দিয়ে মারতে শুরু করেন। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় মনিকার। মিত্রসেন জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়িতে ফিরে বাবাকে মারতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। মৃতের ভাইও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনা নিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হননি।