Anti-love jihad bill: জোর করে বা ঠকিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করালেই যাবজ্জীবন! বিল পাশ যোগী রাজ্যে

Jul 30, 2024 | 6:16 PM

Uttar Pradesh Anti-love jihad bill: মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) উত্তর প্রদেশ বিধানসভায়, পাশ হল উত্তর প্রদেশ বেআইনি ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধ আইন (সংশোধনী) ২০২৪। এই সংশোধনী বিলে শাস্তির বিধানকে আরও কঠোর করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে, এখন সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

Anti-love jihad bill: জোর করে বা ঠকিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করালেই যাবজ্জীবন! বিল পাশ যোগী রাজ্যে
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা প্রাঙ্গনে যোগী আদিত্যনাথ
Image Credit source: PTI

Follow Us

লখনউ: জোর করে বা ভুলিয়ে-ভালিয়ে, কিংবা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বা ষড়যন্ত্র করে, কোনও মহিলা, নাবালক বা অন্য কাউকে ধর্মান্তরিত করলে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আরও কঠোর হল উত্তর প্রদেশের লাভ জিহাদ বিরোধী আইন। যার পোশাকি নাম, উত্তর প্রদেশ বেআইনি ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধ আইন। সোমবারই উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় এই আইনের একটি সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী, সুরেশ খান্না। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) উত্তর প্রদেশ বিধানসভায়, পাশ হল উত্তর প্রদেশ বেআইনি ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধ আইন (সংশোধনী) ২০২৪। এই সংশোধনী বিলে শাস্তির বিধানকে আরও কঠোর করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে, এখন সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

সংশোধিত বিধান অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি হুমকি দিয়ে, আক্রমণ করে, বিয়ে করে বা বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বা এর জন্য ষড়যন্ত্র করে, অথবা পাচার করে, কোনও মহিলা, নাবালক বা অন্য কাউকে ধর্মান্তরিত করে, তাহলে তাঁকে এই আইনের অধীনে সবথেকে গুরুতর অপরাধী বলে ধরা হবে। সংশোধিত বিল অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এর আগে, এই অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান ছিল।

সংশোধিত বিলে, এই অপরাধের এফআইআর নথিভুক্তির নিয়মও বদলানো হয়েছে। আগে এই ধরনের মামলায় অভিযোগ নথিভুক্ত করাতে, নির্যাতিত, বা তার মা-বাবা, বা ভাই-বোনের উপস্থিত থাকাটা আবশ্যক ছিল। এদের উপস্থিতি ছাড়া, যে কেউ চাইলেই অভিযোগ জানাতে পারত না। তবে, সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে, ধর্মান্তরের অভিযোগের ক্ষেত্রে যে কোনও ব্যক্তি এফআইআর নথিভুক্ত করতে পারবেন। যে কেউ এই বিষয়ে পুলিশকে লিখিত তথ্য দিতে পারবেন। অর্থাৎ, সেই ব্যক্তি নির্যাতিতর নিকতাত্মীয় না হলেও চলবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, দায়রা আদালতের নীচে কোনও আদালতে এই ধরনের মামলার শুনানি করা যাবে না। এছাড়া, এই আইনের অধীনে সমস্ত অপরাধকেই জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার পক্ষের আইনজীবী তাঁর যুক্তি দেওয়ার আগে কোনও অভিযুক্তর জামিনের আবেদন বিবেচনা করা যাবে না।

বিরোধীরা অবশ্য এই সংশোধনী আনার প্রেক্ষিতে সমালোচনা করেছে উত্তর প্রদেশ সরকারের। তাদের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মাধ্যমে যোদী সরকার মূল সমস্যাগুলি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে। সংসদের বাইরে সমাজবাদী পার্টির প্রধান, অখিলেশ যাদব বলেন, “ওদের আর আছে কী? ওরা নতুন কিছু করছে না। তাই নতুন কিছু বলার নেই।” প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নভেম্বরে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন জারির বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। পরে, উত্তর প্রদেশ বিধানসভার দুই কক্ষেই বিলটি পাস হয়। ২০২১-এ উত্তর প্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তর আইন প্রতিরোধ আইন কার্যকর করা হয়েছিল।

Next Article