Yogi Adityanath: ‘সংবিধানের শ্বাসরোধের কুৎসিত চেষ্টা…’, কংগ্রেসকে ১৯৭৫ মনে করালেন যোগী

Soumya Saha |

Jun 26, 2024 | 9:17 PM

Yogi Adityanath: নবনির্বাচিত লোকসভার সদস্যদের সামনে জরুরি অবস্থা জারির তীব্র নিন্দা জানান লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। বুধবারই লোকসভার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাঠ করেন তিনি। ওম বিড়লার পাঠ করা এই নিন্দা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বললেন, 'জরুরি অবস্থার নিন্দা প্রস্তাব পাঠ একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।'

Yogi Adityanath: সংবিধানের শ্বাসরোধের কুৎসিত চেষ্টা..., কংগ্রেসকে ১৯৭৫ মনে করালেন যোগী
যোগী আদিত্যনাথ
Image Credit source: Facebook

Follow Us

নয়া দিল্লি: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। টানা ২১ মাস ধরে চলেছিল জরুরি অবস্থা। প্রায় দুই বছর। ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা জারির সেই ‘অন্ধকার সময়ে’ ৫০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আজ নবনির্বাচিত লোকসভার সদস্যদের সামনে সেই জরুরি অবস্থা জারির তীব্র নিন্দা জানান লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। বুধবারই লোকসভার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাঠ করেন তিনি। ওম বিড়লার পাঠ করা এই নিন্দা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বললেন, ‘জরুরি অবস্থার নিন্দা প্রস্তাব পাঠ একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।’

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্র ভারতের নবনির্বাচিত লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ইমার্জেন্সির ৫০ বছরে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাঠ করেছেন। আমি এর জন্য ওম বিড়লাকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে যেভাবে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, তা ‘সংবিধানের শ্বাসরোধের’ সামিল বলেই মনে করছেন তিনি।

ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সি জারির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যে সংবিধানের শপথ নিয়ে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সংবিধানেরই শ্বাসরোধ করার কুৎসিত চেষ্টা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে একপ্রকার হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল।’ জরুরি অবস্থা জারির সেই ‘কালো অধ্যায়ের’ ৫০ বছর পেরিয়ে এসেছে দেশ। এখন কংগ্রেসের সেই সব ‘কালো কীর্তি’ জনতার কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার বলেই মনে করছেন যোগী আদিত্যনাথ।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব যেভাবে সংবিধানের নামে, সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার নামে দেশবাসীকে ভুল বোঝাচ্ছিল, সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের চেহারা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা দরকার। সংসদ সেই ঐতিহাসিক কাজটাই করেছে। কংগ্রেসের চেহারা বদলেছে ঠিকই, কিন্তু চরিত্র সেই একই রয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আজও তাদের বিশ্বাস নেই। সেই জন্যই দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কাঠগড়ায় তোলা, বিদেশে গিয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে, দেশের ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা এদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে।’

Next Article