Uttar Pradesh: খাটের উপর থরে থরে ৫০০ টাকার বান্ডিল! বউ-বাচ্চার এক ‘সেলফি’তেই বিপাকে সাব-ইন্সপেক্টর

Uttar Pradesh Sub-Inspector Transferred: বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ শঙ্কর মিনা। তিনি এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চেয়েছেন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বঙ্গারমাউয়ের সার্কেল অফিসার পঙ্কজ সিংকে।

Uttar Pradesh: খাটের উপর থরে থরে ৫০০ টাকার বান্ডিল! বউ-বাচ্চার এক 'সেলফি'তেই বিপাকে সাব-ইন্সপেক্টর
সব মিলিয়ে ২৭টি ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিলImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2023 | 9:23 AM

লখনউ: বর্তমানে, সেলফি তোলাটা একটা নেশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, এই নেশা যে এক পুলিশ কর্তার চাকরি নিয়ে টানাটানির কারণ হবে, তা কে জানত? উত্তর প্রদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর রমেশ সাহনির স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যাও একটি সেলফি তুলেছিল। আর সেই সেলফির জেরেই মহা বিপাকে পড়েছেন তিনি। উন্নাও জেলার বেটা মুজাওয়ার এলাকায় মোতায়েন ছিলেন এই সাব-ইন্সপেক্টর। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন), তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ওই সেলফি ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল নেট দুনিয়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হিছানার উপর থরে থরে সাজানো রয়েছে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। আর তার চারপাশে শুয়ে-বসে আছেন পুলিশ কর্তার পরিবারবর্গ। নোটের বান্ডিল-সহ এই ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার পরই বদলি করা হয়েছে সাব-ইন্সপেক্টর রমেশ সাহনিকে৷

জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ২৭টি ৫০০ টাকার নোট ছিল ছবিগুলিতে। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা! স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁকে তাঁর বর্তমান পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁকে আপাতত পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ শঙ্কর মিনা। তিনি এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চেয়েছেন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বঙ্গারমাউয়ের সার্কেল অফিসার পঙ্কজ সিংকে। ঘটনার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন তিনি। সমস্ত প্রাসঙ্গিক প্রমাণ সংগ্রহ করে তাঁকে এই বিষয়ে অবিলম্বে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ লাইনেই থাকবেন রমেশ সাহনি।

এদিকে, তিনি কোনও অন্যায় বা অবৈধ কাজ করেননি বলে দাবি করেছেন রমেশ সাহনি। তাঁর দাবি, ছবিগুলি পুরনো। ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর তোলা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, ওই অর্থের সব হিসেব আছে তঁর কাছে। ওই সময় তিনি কিছু পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রি করেছিলেন। ছবিতে যে নগদ দেখা যাচ্ছে, সেগুলি ওই সম্পত্তি বিক্রির অর্থ।