নয়া দিল্লি: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ মিলছে। এরই মধ্যে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে কমছে ভ্যাকসিন-দ্বিধা। সাম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
সম্প্রতি লোকাল সার্কেলস নামে এক সমীক্ষক সংস্থার পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, অক্টোবর মাসে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে ৭.০৪ কোটি মানুষ করোনা টিকা নেবেন কি নেবেন না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। পরে নভেম্বর মাসে সেই পরিসংখ্যান আরও বেড়ে যায়। নভেম্বরে ১১.৫৯ কোটি মানুষ করোনার টিকা নেওয়া নিয়ে দ্বিধায় ভুগছিলেন। তবে ডিসেম্বরের শুরুতেই যখন দেশে ওমিক্রন দাঁত-নখ বের করতে শুরু করেছে, তখন তা এক ধাক্কায় অনেকটা নেমে এসেছে। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৬.৯৬ কোটি মানুষ করোনা টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে দ্বিধায় রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উৎসাহজনক। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অনেক প্রাপ্তবয়স্কই যাঁরা এখনও করোনা টিকা নেননি, তাঁরা এবার সুযোগ পেলেই টিকা নিতে ইচ্ছুক।
উল্লেখ্য, মাঝে করোনায় সংক্রমণ কিছুটা কমতেই টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভীষণরকমেই অনীহা দেখা গিয়েছিল। একই সঙ্গে ইনজেকশনের ভয় থেকেও অনেকে প্রায় দ্বিতীয় ডোজ় নেয়নি। বেশির ভাগের আবার করোনার ভীতি কেটে গিয়েছিল। শারীরিক দূরত্ববিধি মানার কোনও বালাই ছিল না। মুখে মাস্কও ছিল না অনেকেরই। সঙ্গে সচেতনতার বড়সড় অভাব লক্ষ করা গিয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সম্প্রতি যে ‘হর ঘর দস্তক’ প্রকল্পের সূচমা করা হয়েছে, তাতে অনেকটা কাজে দিয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যে ১২ কোটি প্রাপ্তবয়স্কের করোনা টিকাকরণ এখনও হয়নি, তাঁদের মধ্যে ১৭ শতাংশ এখনই টিকা নিয়ে নিতে চাইছেন। এদিকে ২৫ শতাংশের মধ্যে এখনও কিছুটা অনীহা রয়ে গিয়েছে। যাঁরা এখনও টিকা নিতে চাইছেন না, তাঁরা মূলত বেশ কয়েকটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। ২৫ শতাংশ অনিচ্ছুকের মধ্যে ১৬ শতাংশ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ১৭ শতাংশ মনে করছেন, তাঁদের নিজেদের শারীরিক অবস্থার জন্য তাঁরা টিকা নেওয়ার যোগ্য নন।
এদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে টিকাকরণের গতি এবং ‘হর ঘর দস্তক’ প্রকল্পের সাম্প্রতিক অগ্রগতির উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ়ের কভারেজ আরও বাড়ানো দরকার। কেউ যাতে বাদ না যান, সেই বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকেও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যারা প্রথম ডোজ় পেয়েছেন, তাঁদের সময়মতো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে কি না।
আরও পড়ুন : PM Narendra Modi: ‘নতুন ভারত সমস্যার সমাধান করতে জানে; অকারণ বিলম্বিত করতে নয়’