নয়া দিল্লি : অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে ইন্দোনেশিয়া পাম তেলের রপ্তানি বন্ধ করতে পারে। অবশেষে বৃহস্পতিবার তেলের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল সে দেশ। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর এই পদক্ষেপে ভারতের ভাঁড়ারে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন এর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা। কারণ বিশ্বের মধ্য়ে ভারত সর্ববৃহৎ পাম তেলের আমদানিকারক। এবং এই আমদানির বেশিরভাগটাই আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে। প্রতি মাসে প্রায় ৩৫০০০০ টন পাম তেল আমদানি করে ভারত।
ভারতের পাম তেল শিল্পের কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞার ফলে বন্দর ও তেল মিলগুলিতে ভারতে পাঠানোর জন্য কমপক্ষে ২৯০,০০০ টন ভোজ্য তেল আটকে গেছে। আধিকারিকের মতে, ইন্দোনেশিয়ার এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে ভারতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে ভারতে তেলের দাম বাড়তে পারে। জেমিনি এডিবলস অ্যান্ড ফ্যাটস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, “আমাদের ১৬,০০০ টন ওজনের তেলের ভেসেল ইন্দোনেশিয়ার কুমাই বন্দরে আটকে আছে।” প্রতি মাসে চৌধুরির ফার্ম প্রায় ৩০,০০০ টন ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল কেনে।
ইন্দোনেশিয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম তেল রপ্তানিকারক হল মালয়েশিয়া। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের পর মালয়েশিয়া থেকে নিজে পাম তেল কেনার জন্য আগ্রহী। কিন্তু জানা গিয়েছে মালয়েশিয়া এতটা চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়। ফলে ভারতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর হাত ধরে আসতে পারে দামবৃদ্ধি। এমনিতেই বাজার আগুন। পেট্রোল-ডিজেলের দামবৃদ্ধির প্রভাব প্রতিদিনের বাজারেও পড়েছে। এই পরিস্থিতি পাম তেলের ঘাটতিতে মধ্যবিত্তদের নাকানি-চোবানি খাওয়ার মতো অবস্থা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : Kamal Nath Resigns : পিকের ‘প্রেসক্রিশন’ মেনেই চলছে ‘ট্রিটমেন্ট’! পদ ছাড়লেন কমল নাথ