Jagdeep Dhankhar: ব্য়ক্তিগত কর্মীদের রাজ্যসভার বিভিন্ন কমিটিতে নিয়োগ, বিতর্কে জড়ালেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়
Parliament Committee Recruitment: বুধবার রাজ্য়সভার সেক্রেটারিয়েটের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যায় রাজ্যসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ২০ জন নতুন আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন আধিকারিক রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের দফতরের কর্মী বলেই জানা গিয়েছে।
নয়া দিল্লি: ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠল উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে। রাজ্য়সভার (Rajya Sabha) বিভিন্ন কমিটিতে ব্য়ক্তিগত সচিবদের নিয়োগ করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান নিয়ম ভেঙে সংসদের উচ্চকক্ষের বিভিন্ন কমিটিতে নিজের দফতরের কর্মীদের নিয়োগ করেছেন। এই বিষয়টি সামনে আসতেই একাধিক কংগ্রেস কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের দফতরের কর্মীদের রাজ্য়সভার বিভিন্ন কমিটিতে নিয়োগ করেছেন। এর মাধ্যমে বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় যে তিনি ভরসা করেন না, তারই প্রমাণ হচ্ছে।
লোকসভা ও রাজ্যসভার যাবতীয় কার্য প্রক্রিয়া নজরে রাখার জন্য বিভিন্ন কমিটি রয়েছে। এই কমিটিগুলির কাজের উপরে নজরদারির জন্য বিভিন্ন জুনিয়র অফিসারদের নিয়োগ করা হয়। রাজ্য়সভার সেক্রেটারিয়েট ও চেয়ারপার্সনই এই নিয়োগ করেন। একটি সাধারণ পুল থেকে এই কর্মী নিয়োগ করা হয়। কমিটির বিভিন্ন কার্যকলাপে সম্পন্ন করতে সাহায্য করেন এই জুনিয়র লেভেলের আধিকারিকরা। গোটা কার্যপ্রক্রিয়াতেই গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তাই কমিটির দেখভালের পাশাপাশি গোপনীয়তা রক্ষা করাও এই কর্মীদের অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
বুধবার রাজ্য়সভার সেক্রেটারিয়েটের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যায় রাজ্যসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ২০ জন নতুন আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন আধিকারিক রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের দফতরের কর্মী বলেই জানা গিয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই সংসদের বিরোধী দলের নেতারা এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন। তারা অভিযোগ করেন, এই পদক্ষেপ আইন বিরুদ্ধ না হলেও, নীতি বিরুদ্ধ। নিজের ব্যক্তিগত সচিব বা কর্মীদের মধ্যে থেকে আধিকারিকদের নিয়োগ করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বিভিন্ন কমিটির উপরে নজর রাখছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, সংসদীয় ব্যবস্থার উপরে ভরসা নেই রাজ্যসভার চেয়ারম্য়ানের।
সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪ সাল অবধি যেখানে ৬৭ শতাংশ বিলের স্ক্রুটিনি বা পর্যালোচনা করা হত, তার হার বর্তমানে ১৪ শতাংশে কমে দাঁড়িয়েছে। বিগত ৫ বছরে ২৬৭ নম্বর নিয়মের অধীনে কোনও আলোচনাও হয়নি। তৃণমূলের তরফে আগামিকাল এই বিষয় নিয়ে বিবৃতি জারি করা হবে বলেই জানানো হয়েছে।