Video: রাম মন্দিরের তলায় চাকা, পৌঁছে যাবে ভক্তদের দুয়ারে দুয়ারে

Jan 18, 2024 | 8:50 AM

Ram Mandir On Wheels: অযোধ্যার রাম মন্দিরে এখনই আসা সম্ভব নয় সব ভক্তের। তাই, তিনি রাম মন্দিরকেই ভক্তদের কাছে নিয়ে চলেছেন। তৈরি করেছেন চাকাওয়ালা এক রাম মন্দির! সুধাকর যাদব জানিয়েছেন, ২০২০ সালে রাম মন্দিরের 'ভূমিপুজন' অনুষ্ঠান হওয়ার পরই তিনি এই চাকাওয়ালা রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন।

Video: রাম মন্দিরের তলায় চাকা, পৌঁছে যাবে ভক্তদের দুয়ারে দুয়ারে
২০২০ সালে রাম মন্দিরের 'ভূমিপুজন' অনুষ্ঠান হওয়ার পরই তিনি এই চাকাওয়ালা রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন
Image Credit source: Twitter

Follow Us

হায়দরাবাদ: অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দিরের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান যতই এগিয়ে আসছে, ভারত ও গোটা বিশ্বের রাম ভক্তরা, ভগবানের প্রতি তাঁদের ভক্তি প্রদর্শনের অনন্য এবং উদ্ভাবনী উপায় দেখাচ্ছেন। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদেও খোঁজ পাওয়া গেল এমন এক ভক্তের। তিনি সুধাকর যাদব। হায়দরবাদের একজন গাড়ি ডিজাইনার। অযোধ্যার রাম মন্দিরে এখনই আসা সম্ভব নয় সব ভক্তের। তাই, তিনি রাম মবন্দিরকেই ভক্তদের কাছে নিয়ে চলেছেন। তৈরি করেছেন চাকাওয়ালা এক রাম মন্দির!

হায়দরাবাদে, সুধা কারস মিউজিয়ামের মালিক হলেন সুধাকর যাদব। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে, তিনি এক অনন্য মাস্টারপিস তৈরি করেছেন – রাম মন্দিরের গাড়ি। এটি মূলত একটি গাড়ির উপরে বসানো, অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রায় নিখুঁত প্রতিরূপ। সুধাকর যাদব জানিয়েছেন, ২০২০ সালে রাম মন্দিরের ‘ভূমিপুজন’ অনুষ্ঠান হওয়ার পরই তিনি এই চাকাওয়ালা রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। গত দুই বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি রাম মন্দিরের প্রতিরূপের এই গাড়ি তৈরি করছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রকৃত মন্দিরের প্রতিটি ছোটোখাট খুঁটিনাটি এই প্রতিরূপে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাঁর এই প্রকল্পে কাজ করেছেন মোট ২১ জন শ্রমিকেরর একটি দল। যাদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন মুসলিম।


১৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁর এই রাম মন্দির গাড়িটি প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করেছেন সুধাকর যাদব। লোকজনদের বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে অযোধ্যা রাম মন্দিরকে নিয়ে যেতে চান তিনি। তাই, চাকা দেওয়া মন্দিরটিকে তিনি বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে নিয়ে যাবেন।


এদিকে, অযোধ্যা রাম মন্দিরে নৈবেদ্য হিসাবে দেওয়ার জন্য ১,২৬৫ কেজি লাড্ডু তৈরি করেছেন হায়দরাবাদেরই নাগভূষণ রেড্ডি। একটি বিশাল রেফ্রিজারেটেড কাচের বাক্সে ওই লাড্ডু তিনি হায়দরাবাদ থেকে অযোধ্যায় নিয়ে যাচ্ছেন। নাগভূষণ, হায়দরাবাদে এক ক্যাটারিং ব্যবসা চালান। তিনি জানিয়েছেন, ৩০ জন ব্যক্তি ২৪ ঘন্টা একটানা কাজ করে এই লাড্ডু তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন, “আমি ২০০০ সাল থেকে শ্রীরাম ক্যাটারিং নামে এক ক্যাটারিং ব্যবসা চালাই। রাম জন্মভূমি মন্দিরের ভূমিপূজার সময়, আমরা আলোচনা করছিলাম, শ্রীরামকে কী নৈবেদ্য দেওয়া যায়। পরে, আমরা ঠিক করি, ভূমিপূজার দিন থেকে মন্দির খোলার দিন পর্যন্ত, আমরা প্রতিদিন ১ কেজি করে লাড্ডু দেব। এইভাবে আমরা মন্দিরের জন্য এই ১,২৬৫ কেজি লাড্ডু তৈরি করেছি। লাড্ডুগুলি এক জায়গায় করতেই আমাদের ৪ ঘন্টা সময় লেগেছে।”

Next Article