লখনউ: মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে রূপচর্চার জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা মেখে দেখেন কোনটা বেশি উপকারী। ত্বক সতেজ রাখার এবং নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য অনেকেই বিস্তর টিপস মেনে চলেন। এবার মেয়েদের সৌন্দর্যের এক টিপস শেয়ার করলেন বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ‘গাধার দুধে তৈরি সাবান দিয়ে মহিলাদের ত্বক ভাল থাকে।’ এমনটাই মন্তব্য বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধীর (Maneka Gandhi)। আর তাঁর এহেন মন্তব্যের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করছেন এক সাংবাদিক। আর বিজেপি নেত্রীর এই সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন এক জনৈক সাংবাদিক। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধী বলছেন, “বিদেশে ক্লিওপেট্রা নামে এক বিখ্যাত রানী ছিলেন। তিনি গাধার দুধ দিয়ে স্নান করতেন। তাই গাধার দুধ দিয়ে তৈরি সেই সাবানগুলি দিল্লিতে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাহলে আমরা ছাগলের দুধ বা গাধার দুধ থেকে সাবান তৈরি করব না কেন? আমরা এমন একটি জিনিস বেছে নেব যা সহজে এবং আরামদায়কভাবে করা যেতে পারে।”
बीजेपी नेता मेनका गांधी का बयान- औरत के शरीर को सुंदर रखता है गधे के दूध का साबुन। वीडियो हुआ वायरल।#ManekaGandhi pic.twitter.com/jAQ740PZ5E
— Rituraj Tripathi (@riturajfbd) April 2, 2023
উত্তর প্রদেশের বলদিরাইতে জনসভা ছিল। সেখানেই উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বিজেপি সাংসদ বলেন, “লাদাখে একদল লোক রয়েছে। তাঁরা লক্ষ্য করেছেন যে গাধার সংখ্যা দিন গিন কমছে। একটা কথা বলুন গত কত দিন ধরে আপনি একটি গাধা দেখেননি? তাদের সংখ্যা কমে গেছে। তারা চলে গেছে। একজন ধোপার চাকরিও এখন বিলুপ্ত। ধোপাদের আর গাধার দরকার নেই। তাহলে গাধারা যাবে কোথায়? কিন্তু এই লোকেরা এই গাধাগুলি থেকে দুধ দোওয়াতে শুরু করেন। তাঁরা গাধার দুধ ব্যবহার করে সাবান তৈরি করেছিল। মনে করা হয় যে গাধার দুধ দিয়ে তৈরি সাবান একজন মহিলার সৌন্দর্য বজায় রাখতে খুব উপকারী।” তাই এই বক্তব্যই এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায়।
এদিকে তিনি উপস্থিত জনগণদের গোবর বিক্রি করার পরমার্শও দেন। তাঁর কথায়, “এখন কাঠ এত দামি হয়ে গিয়েছে যে যখন কোনও মানুষের মৃত্যু হয় তাঁর গোটা পরিবার দরিদ্র হয়ে যায়। অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়ার জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার কাঠ লাগে। এর থেকে সৎকারের কাজে ঘুটের সঙ্গে কোনও সুগন্ধি দ্রব্য মিশিয়ে তা ব্যবহার করতে পারি আমরা। এর ফলে খরচ কমে দাঁড়াবে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকায়। তাছাড়া ঘুটে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনও করতে পারেন যে কেউ।”