Waqf Property: ওয়াকফের ৬০ শতাংশই কবরস্থান, কীভাবে আয় করবে সরকার? প্রশ্ন সপা সাংসদের
Waqf Property: বিজেপি সাংসদ জেপি নাড্ডা বলেন, "তুরস্ক, মালয়শিয়া, ইরানের মতো মুসলিম রাষ্ট্রেও ওয়াকফের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে। যদি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলি পারে, তবে আমরা কেন সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করব না?"

নয়া দিল্লি: লোকসভা-রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে ওয়াকফ বিল। তারপরও এই সংশোধনী বিল নিয়ে চর্চা থামছে না। ওয়াকফ আইনে পরিবর্তন এলে কী হবে, কেনই বা সরকার ওয়াকফ আইনে পরিবর্তন আনতে এত আগ্রহী ছিল, এই সমস্ত প্রশ্নই উঠে আসছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের উদ্দেশ্য নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। জানতে চেয়েছিলেন, ওয়াকফের সম্পত্তির অধীনে থাকা কবরস্থান থেকে কীভাবে আয় করবে সরকার?
গত বুধবার, লোকসভায় পেশ করা হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল। ১২ ঘণ্টা ধরে এই সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা চলে। শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে ওঠে। কেন্দ্রের তরফে প্রথম থেকেই বলা হয়েছিল, এই আইনে মুসলিমদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে না। এই আইনের লক্ষ্য হল ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন। ওয়াকফের মাধ্যমে যে আয় হবে, তা দিয়ে মুসলিম মহিলা, বিধবা, অনাথ ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়ন করা।
বিজেপি সাংসদ জেপি নাড্ডাও বলেন, “তুরস্ক, মালয়শিয়া, ইরানের মতো মুসলিম রাষ্ট্রেও ওয়াকফের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে। যদি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলি পারে, তবে আমরা কেন সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করব না?”
সরকার জানিয়েছে, এবার থেকে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম প্রতিনিধিও থাকবে। ওয়াকফ থেকে যে আয় হবে, তা মুসলমান মহিলা, বিধবা, অনাথ ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে।
এর সাপেক্ষেই সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জাভেদ আলি খান প্রশ্ন করেছিলেন, “ওয়াকফ সম্পত্তির ৬০ শতাংশ কবরস্থান। এই কবরস্থান থেকে কীভাবে আয় করবে সরকার?”
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে ৮.৭২ লক্ষ নথিভুক্ত ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। যা ৩৮ লক্ষের বেশি একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।রাজ্যভিত্তিক সম্পত্তির ভিত্তিতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশ। সুন্নি বোর্ডের ২.১৭ লক্ষ সম্পত্তি রয়েছে। যদিও তা কত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত তা জানা যায়নি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তারপর রয়েছে পঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং কর্নাটক।

