ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছিল, মালাবদলের মুহূর্তেই এমন জিনিস হল, সবথেকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিল পাত্রী…
Marriage: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শোরগোল পড়ে যায়। পাত্র পক্ষ বিয়ে ভাঙতে নারাজ, এদিকে পাত্রীও জেদ ধরে বসে আছেন যে বিয়ে করবেন না। কথা কাটাকাটি থেকে শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিও বেধে যায়। বাধ্য হয়েই পুলিশ ডাকতে হয়।
লখনউ: বিয়ের মরশুম চলছে। চারিদিকেই বিয়েবাড়ি। এই উৎসব-আনন্দের মাঝেই অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটেছে। বিয়ে করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটল যে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডাকতে হল। ধুমধাম করেই হচ্ছিল বিয়ে। বরযাত্রীরাও এসেছিল। পাত্র এসেছিল ঘোড়ায় চড়ে। মালাবদল হবে, তার আগেই এমন ঘটনা ঘটল…
ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের। সুলতানপুরে বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী এক যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল আখন্দনগর থানা এলাকায় বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে। দেখাশোনা করেই বিয়ে ঠিক হয়। গত ১৭ নভেম্বর বিয়ের তারিখ ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে বরযাত্রীরা এসে যান। কন্যাপক্ষও তাদের সাদরে স্বাগত জানান। খাওয়া-দাওয়া চলছিল। ওদিকে, মণ্ডপে মালাবদলের প্রস্তুতি চলছিল। হঠাৎ পাত্রী এসে জানালেন, তিনি বিয়ে করবেন না।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শোরগোল পড়ে যায়। পাত্র পক্ষ বিয়ে ভাঙতে নারাজ, এদিকে পাত্রীও জেদ ধরে বসে আছেন যে বিয়ে করবেন না। কথা কাটাকাটি থেকে শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিও বেধে যায়। বাধ্য হয়েই পুলিশ ডাকতে হয়।
পুলিশ আসলে পাত্রী জানায়, সে স্নাতক। এদিকে পাত্র নাকি দশম শ্রেণিও পাশ নয়। তার উপরে পাত্র শারীরিকভাবে অক্ষম। এমন ছেলের সঙ্গে কিছুতেই বিয়ে করবে না সে। দুই পক্ষই পাত্রীকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, সে নিজের জেদ বজায় রাখে।
শেষ পর্যন্ত বিয়ে ভাঙারই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। পুলিশ মধ্যস্থতা করে, বলে যে পাত্র পক্ষকে তিলক-বরমালা অনুষ্ঠানের খরচ দেওয়ার এবং কনে পক্ষকে যাবতীয় গহনা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত পাত্রী ছাড়াই বরযাত্রীকে ফেরত আসতে হয়।