উত্তর ২৪ পরগনা: দেগঙ্গা (Deganga) থেকে মেঙ্গালুরুতে (Mengaluru) কাজে গিয়েছিলেন পাঁচ যুবক। অভিযোগ, সেখানেই বিষাক্ত গ্যাসের একটি ট্যাঙ্কে পড়ে গিয়ে মারা যান পাঁচজনই। আরও চারজন গুরুতর অবস্থায় সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকেরা। এখনও মৃতদেহ এসে পৌঁছয়নি। তবে যে কোনও মুহূর্তে কফিনবন্দি হয়ে গ্রামে ফিরতে পারে দেহগুলি। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা এখনও তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে যে খবর তাদের জানানো হয়েছে, একটি ‘ফিশ প্রসেসিং ইউনিট’-এর বর্জ্য সংগ্রহের ট্যাঙ্কে প্রথমে একজন পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়েই বাকিরাও বিপদের মুখে পড়েন। ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ১০ নাগাদ মেঙ্গালুরুর বাজপে থানা এলাকার ঠোকুরে ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের নাম নিজামুদ্দিন আলিস, মহম্মদ শামিউল্লা ইসলাম, উমর ফারুক, মিরাজুল ইসলাম ও শরাফত আলি। জানা গিয়েছে ১৭ এপ্রিল রাতেই মারা যায় নিজামুদ্দিন, শামিউল্লা ও উমর। মিরাজুল ও শরাফত ১৮ এপ্রিল হাসপাতালে মারা যান। হাসপাতালে ভর্তি হাসান আলি, মহম্মদ কারিবুল্লা ও হাফিজুল্লা। এই ঘটনায় সোমবারই নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে। একইভাবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানতে কর্ণাটকের মুখ্যসচিবকে চিঠিও দেবেন বাংলার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
Karnataka | Five workers died & 3 others were injured at a fish factory in Mangaluru. The incident took place on Sunday, April 17. Police took 4 people into custody in connection with the death of workers: Mangaluru police Commissioner N Shashi Kumar
— ANI (@ANI) April 18, 2022
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় এক যুবক প্রথমে ওই ট্যাঙ্কে পড়ে যান এবং অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করতে নামেন সাতজন। তার মধ্যেই পাঁচজন মারা যান, তিনজন অসুস্থ হয়ে মেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনজন এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেখানকার পুলিশ কমিশনার এন শশী কুমার জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একজনের মুখে ও নাকের ভিতর মাছের অংশ পাওয়া গিয়েছে। কারখানার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই কারখানায় প্রায় ১০০ জন কাজ করেন। এর মধ্যে ৩১ জন বাংলা থেকে গিয়েছেন। এমনও অভিযোগ, কারখানার তরফে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া হয় না শ্রমিকদের।
জানা গিয়েছে, আট মাস আগে দেগঙ্গা থেকে পাঁচ যুবক কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুতে কাজে যান। দক্ষিণ কন্নড়ে বাজপে থানা এলাকায় এই কারখানায় দিনমজুরের কাজ করতেন তাঁরা। মূলত মাছের প্যাকেজিংয়ের কাজ করতেন তাঁরা। রবিবার রাতেই বাড়িতে ফোন আসে। এই দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। পরিবারের দাবি, তাঁদের জানানো হয়েছে, বিষাক্ত গ্যাসেই প্রাণ হারান পাঁচজন। জেলা প্রশাসন মৃতদেহগুলি ফেরানোর ব্যবস্থা করছেন বলেই জানা গিয়েছে।