What India Thinks Today: হাজার বছর বাঁচবে মানুষ! মৃত্যুকেও হারিয়ে দেবে AI, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
What India Thinks Today: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কি মানুষের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে? AI-এর সম্ভাবনার সামনে এটা এক বড় প্রশ্ন। TV9-Sj 'হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে' সম্মেলনে এই বিষয়ে আলোচনা করলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনুরাগ মৈরাল। তিনি ছাড়াও এআই-এর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন স্যামসাং রিসার্চের এআই ভিশন শাখার ডিরেক্টর অশোক শুক্লা, রিলায়েন্স জিও সেন্টার অব এক্সেলন্সের চিফ ডেটা সায়েন্টিস্ট, শৈলেশ কুমার, মাইক্রোসফট ইন্ডিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, শমিক রায় এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক তথা মার্জ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা, জোনাথন ব্রনফম্যান।
নয়া দিল্লি: গত কয়েক বছরে বিপুল উন্নতি হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই-এর। ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে শুরু করে, কৃষি ক্ষেত্র, শিল্প, ফিল্ম এমনকি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রেও ব্যবহার হচ্ছে এআই। বিশেষ করে, মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এআই। আগামী কয়েক বছরে এআই-এর ক্ষমতা আরও বাড়তে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে, এআই-এর ছোঁয়ায় কি মানুষের আয়ু বেড়ে যেতে পারে? ৭০-৮০ বছরের পরিবর্তে এআই-এর সাহায্যে কি মানুষ ১০০-১৫০ বছর, এমনকি হাজার বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে? এআই-এর ক্ষমতা সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হল দেশের এক নম্বর নিউজ নেটওয়ার্ক TV9-এর বার্ষিক সম্মেলন ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ (What India Thinks Today)-এর দ্বিতীয় দিনে। এদিন, এই মঞ্চে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিশ্রুতি এবং বিপদ নিয়ে বিশদে আলোচনা হল।
এই বিষয়ে আলোচনার জন্য TV9-এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনুরাগ মৈরাল। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এআই-এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। তিনি জানান, কীভাবে এআই-এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়। তাঁর মতে, এআই-এর ব্যবহারে মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি হবে এবং জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের গড় বয়সও বাড়বে। তিনি জানান, ২৭ বছর আগে তিনি যখন ‘ফিউচার টক ওয়েবে’ যোগ দিতেন, তখন আলোচনা হত, প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা ১৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু, আমাদের হাতে এখন যে প্রযুক্তি আছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে যে প্রযুক্তি আমাদের হাতে আসবে, তাতে আমরা হাজার বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারব। তবে, সেই ক্ষেত্রে মানুষ জীবনযাপনের ধরনধারণ বদলে যেতে পারে।
অধ্যাপক মৈরাল বলেন, বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পায় না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মতো প্রযুক্তি নির্ভর সরকারি প্রকল্প ভারতে খুব ভাল কাজ করেছে। একইভাবে, এআই-এর সাহায্যে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে প্রতিটি মানুষের আয়ত্বে আনা সম্ভব। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়, ভারতে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও আশা কর্মীরা তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে কাজ করেছিলেন। এআই-এর মাধ্যমে এই কাজটাই অনেক সহজে করা যেতে পারে। এআই-এর মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করে, প্রাথমিক সেবা দেওয়া যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে, তাহলে তাদের আর আইসিইউ-তে বা, বড় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় না। এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো যাবে। তাতে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি হবে এবং সময়মতো রোগ নির্ণয় করা যাবে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে এআই-এর মধ্যে।
একই অধিবেশনে এআই-এর সম্ভাবনা নিয়ে আলওচনা করেন স্যামসাং রিসার্চের এআই ভিশন শাখার ডিরেক্টর অশোক শুক্লা, রিলায়েন্স জিও সেন্টার অব এক্সেলন্সের চিফ ডেটা সায়েন্টিস্ট, শৈলেশ কুমার, মাইক্রোসফট ইন্ডিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শমিক রায় এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক তথা মার্জ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জোনাথন ব্রনফম্যান। ডঃ শৈলেশ কুমার বলেন, গত ২০ বছরে এআই প্রযুক্তির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২০ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জোনাথন ব্রনফম্যান বলেছেন, এআই প্রযুক্তি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য উপযোগী হতে চলেছে। এ নিয়ে কাজও করছেন তারা। শমিক রায়ের মতে, যতই আশঙ্কা করা হোক না কেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য ভবিষ্যতে চাকরি যাওয়ার কোনও হুমকি নেই।