নয়া দিল্লি: উত্তর প্রদেশের পর সবথেকে বেশি লোকসভা আসন রয়েছে মহারাষ্ট্রে। ৪৮টি লোকসভা আসনের লড়াই এই রাজ্যে। ২০১৯-এ লড়াইটা সরল ছিল। এনডিএ-র শরিক ছিল অবিভক্ত শিবসেনা। পৃথকভাবে লড়াই করেছিল কংগ্রেস এবং এনসিপি। তবে, গত পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে অনেক অদল বদল ঘটে গিয়েছে। শিবসেনা এবং এনসিপি, দুই দলই ভেঙেছে। এবারের নির্বাচনে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পওয়ারের এনসিপি রয়েছে এনডিএ-র সঙ্গে। আর উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি রয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে মহা বিকাশ আগারি জোটে। কী ফল হতে পারে মহারাষ্ট্রে?
* বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল, আসল ফলাফলের আভাস মাত্র। সমীক্ষা সংস্থাগুলি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ফলের একটা পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই আভাসের সঙ্গে আসল ফলফল মিলতেও পারে, নাও পারে।
TV9, পোলস্ট্র্যাটের ও পিপলস ইনসাইটের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, মহারাষ্ট্রে দল ভাঙাভাঙির কারণে ক্ষতি হতে চলেছে এনডিএ জোটের। ২০১৯ সালের নির্বাচনে, মহারাষ্ট্রের ৪৮ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২৩টি আসন। শিবসেনা পেয়েছিল ১৮টি আসন। এনসিপি জিতেছিল ৪ আসনে। আর কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ১টি আসন। TV9, পোলস্ট্র্যাটের ও পিপলস ইনসাইটের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, চলতি নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে এনডিএ পেতে পারে সাকুল্যে ২২টি আসন। আর ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ২৫টি আসন। অন্যান্যদের ঝুলিতে যেতে পারে ১টি আসন।
এনডিএ-র ২২টি আসনের মধ্যে, একা বিজেপিই জিততে পারে ১৮টি আসন। আর বাকি চারটি আসন পেতে পারে একনাথ শিন্জের শিবসেনা। অজিত পওয়ারের এনসিপির ভাগ্যে একটি আসনও না আসার সম্ভাবনাই বেশি। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ৫টি আসনে জিততে পার কংগ্রেস। ১৪টি আসনে জয়ী হতে পারে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা। আর বাকি ৬টি আসনে জয় পেতে পারে শরদ পওয়ারের এনসিপি। অর্থাৎ বলা যেতে পারে, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শরদ পওয়ারের এনসিপিকেই আসল শিবসেনা ও আসল এনসিপি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে মহারাষ্ট্র। আসন সংখ্যা কমবে বিজেপিরও।